নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৭ মে, ২০১৯
আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে? আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় দলের কাউন্সিল অধিবেশনে কি ওবায়দুল কাদেরকেই সাধারণ সম্পাদক বেছে নেওয়া হবে? আওয়ামী লীগের মধ্যে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন এবং আলোচনা। আর এই আলোচনা এবং গুঞ্জনের মূল কারণ তিনটি:
প্রথমত, ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতা। গত ২ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। এরপর তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে বাইপাস সার্জারির পর সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরেছেন। এই অসুস্থতার ধকল সামলে যদিও এখন তিনি কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত হয়েছেন। কিন্তু আগের মতো স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততা নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, এখন তাকে নিয়ম মেনে চলতেই হবে। চাইলেও আগের মতো জীবনযাপন করতে পারবেন না। তবে চিকিৎসকরা এটাও বলছেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) সম্পূর্ণ সুস্থ। তাকে কেবল রুটিনমাফিক চলতে হবে। এখানেই নানা আলোচনার সূচনা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের জীবন দিনরাত একাকার। একমাত্র প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাড়া অন্য সাধারণ সম্পাদকের দলের কার্যক্রমে প্রচুর সময় দিতে হতো। ওবায়দুল কাদের সময় দিতেন সবচেয়ে বেশি। এখন ডাক্তারের বেঁধে দেওয়া রুটিনে কাদের এত বড় দল আবার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় একমাসে কীভাবে সামলাবেন, সে প্রশ্ন ক্রমশ বড় হয়ে উঠছে।
দ্বিতীয়ত, পদ্মাসেতু আর মেট্রোরেলের কাজ এখন দ্রুতগতিতে এগুচ্ছে। একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি মেগা প্রকল্প। এবার বাজেটে সড়ক এবং সেতু খাতেই সর্বাধিক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী দুই বছর এই দুটি প্রকল্পের সুষ্ঠু সমাপনীতে দরকার রাজনৈতিক নজরদারি এবং সার্বিক তদারকি। যদিও সার্বিক নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে এই চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প দুটি হচ্ছে, তবুও দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। তাই পদ্মাসেতুর চূড়ান্ত পর্বে ওবায়দুল কাদেরকে একই সঙ্গে দুটি দায়িত্বে রাখা হবে কিনা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারণ, এক পদ্মাসেতুই পাল্টে দেবে রাজনীতির দৃশ্যপট। এটা কেবল একটি সেতু নয়, আত্মমর্যাদা এবং অহংকারের প্রতীক। তাই এই সেতু নির্মাণের শেষ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর অর্থাৎ সেতুমন্ত্রীর নিরবিচ্ছিন্ন মনোনিবেশ চাইবে সরকার। আর যেহেতু ওবায়দুল কাদের সেতু বিভাগে তার নিজস্ব একটি টিম করে ফেলেছেন, তাই পদ্মাসেতুর শেষপর্যন্ত তার প্রয়োজনীয়তা থাকবেই। পদ্মাসেতুর স্বার্থে কি তাহলে সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়বেন কাদের?
তৃতীয়ত, আওয়ামী লীগ এবার দল এবং সরকার আলাদা করতে চাইছে। জাতির পিতা যেমনটি চেয়েছিলেন। যে কারণে বঙ্গবন্ধু দলের স্বার্থে মন্ত্রীত্ব ছেড়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি এখন সেই ধারা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। গত মেয়াদে তিনি অনেকটা সফল হয়েছেন। এবার কি কাউন্সিলে তাহলে একজন অমন্ত্রী পূর্ণকালীন সাধারণ সম্পাদক হবেন। তাহলে কি ওবায়দুল কাদেরকে ছাড়তে হবে যেকোনো একটি পদ?
এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আরও পরে। আর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন একজনই, তিনি হলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক
লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি
উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে
কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে
সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ
সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার
জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক
লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায়
এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয়
পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।