নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৯ মে, ২০১৯
জিয়াউর রহমানের রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করে দেয়া। জিয়া চেয়েছিলেন ‘বাংলাদেশে যেন আওয়ামী লীগ নামে কোনো রাজনৈতিক দল না থাকে, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে।‘ কিন্তু জিয়ার মৃত্যুর ৩৮ বছর পর আজ জিয়াউর রহমান এবং তার হাতে গড়া রাজনৈতিক দল বিএনপিরই নাম ঠিকানা মুছে যাবার উপক্রম হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে সবসময়ই বলার চেষ্টা করা হয় যে, জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডে জিয়ার কোনো ভূমিকা নেই। যদিও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আদালতে এটর্নী জেনারেল দেখিয়েছেন যে, জিয়ার নির্লিপ্ততা ছিল খুনীদের পক্ষে। সব জেনেশুনে চুপচাপ থাকা খুনীদেরই সহায়তা করা ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর জিয়া সেনাপ্রধান হন। এরপর ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থান, পাল্টা অভ্যুত্থানের ধারায়, নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখল করেন জিয়া। মূলত: ৭৫ এর ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৮১র ৩০মে পর্যন্ত ছিল জিয়ার রাজত্বকাল। (যদিও জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২১ এপ্রিল ১৯৭৭) এই পুরো সাড়ে পাঁচ বছরের শাসনকালে জিয়া আওয়ামী লীগের উপর চালিয়েছিলেন নির্মম স্টিম রোলার। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, জিয়া চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলতে। আসুন দেখা যাক, জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কি কি করেছিলেন;
১. ৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে জিয়ার মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯৮৬ জন নেতাকর্মীকে বিনা বিচারে গ্রেপ্তার করেছিলেন জিয়া (সূত্র: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্ট)
২. এই সাড়ে পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগের ৩৩ হাজার ৬৫৪ জনকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। (সূত্র: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল)
৩. জিয়ার শাষনামলে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৩ হাজার নেতাকর্মী পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়।
৪. জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ১৭৬ টি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করে সরকারের করায়ত্বে নেয়া হয়।
৫. রাষ্ট্রীয় বেতার ও টেলিভিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিষিদ্ধ করা হয়।
৬. সংবিধান থেকে জাতীয় চার মূল নীতিসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়।
৭. স্বাধীনতা বিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়, তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে বাংলাদেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়।
৮. জিয়ার শাসনামলে আওয়ামী লীগকে কোন সভা সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ এ সময় একরকম নিষিদ্ধ ছিলো।
৯. জিয়ার নির্দেশে সারাদেশে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে (তৎকালীন বাকশাল) তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
১০. আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং তাদের পরিবারের জন্য সরকারী চাকরি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
জিয়া তার মৃত্যুর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির শেষ সভায় ২৭ মে বলেছিলেন আগামী নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগকে দেখতে চাই না।‘ কিন্তু ইাতহাসের কী নিষ্ঠুর পরিনতি। তার মৃত্যুর ৩৮ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ আজ অপ্রতিরোধ্য জনপ্রিয় দল আর বিএনপি নিশ্চিহ্ন হবার উপক্রম। জিয়া আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে যা করেছিলেন ,তার কানাকড়িও কি এখন বিএনপির ক্ষেত্রে করা হয়?
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।