নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১০ জুন, ২০১৯
বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দুই নেত্রীর নাম একই সঙ্গে উচ্চারিত হয়। বিশেষ করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দুই নেত্রী গণতন্ত্রের মুখপাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। স্বৈারাচার পতনের পরও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভারসাম্য হিসেবে দুই নেত্রীকে বিবেচনা করা হতো। দুই নেত্রীর মধ্যে আদর্শগত এবং অবস্থানগত যত বিরোধ থাকুক না কেন, দুই নেত্রীকে মনে করা হতো গণতন্ত্রের ভারসাম্য এবং একে অন্যের পরিপূরক। এ কারণেই ওয়ান ইলেভেনের সময় দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। দুই নেত্রীর জনপ্রিয়তা সমসাময়িক রাজনীতিতে প্রায় সমান ছিল। কর্মী সমর্থকের দিক থেকেও দুই নেত্রী প্রায় সমকক্ষ ছিলেন। কিন্তু ওয়ান ইলেভের পর থেকেই দুই নেত্রীর অবস্থান পরিবর্তন হতে থাকে। দুই নেত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা অতুলনীয়। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া প্রায় ভুলে যাওয়া একটা নাম। ওয়ান ইলেভেনে দুই নেত্রীই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের এই গ্রেপ্তারের পরই যে পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় শেখ হাসিনা উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। বেগম খালেধা জিয়া উত্তীর্ণ হতে পারেননি। কি হয়েছিল যে শেখ হাসিনা ওয়ান ইলেভেনের পর রাজনীতিতে প্রায় অমরত্বের পর্যায়ে চলে গেলেন আর বেগম খালেদা জিয়া প্রায় নি:শোষিত হচ্ছেন। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশ্বেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার এমন কিছু পারিপাশ্বিক যোগ্যতা ছিল যে কারণে ওয়ান ইলেভেনের ঝঞ্জা কাটিয়ে তিনি রাজনীতিতে সফল হয়েছেন। অন্যদিকে রাজনীতির ভুল পথে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়া বিলীণ হতে চলেছেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের এই ভাবনাগুলো।
ত্যাগী নি:স্বার্থ তৃনমূল: আওয়ামী লীগ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গঠিত হওয়া একটি দল। এই দলের প্রধান শর্ত হলো এর নি:স্বার্থ, ত্যাগী তৃনমূল। যারা কোন কিছু প্রত্যাশা না করে দলের জন্য জীবন উৎসর্গ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন সময় এই তৃনমূলই ছিল আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করে, রক্ত দিয়ে এই সংগঠনটি গড়েছে। অন্যদিকে বিএনপি গঠিত হয়েছে ক্ষমতায় থেকে সরকারের আনুগত্য এবং পৃষ্টপোষকতায়। যার ফলে এই দলটিতে কখনো ত্যাগী, নি:স্বার্থ কর্মী বাহিনী গড়ে উঠতে পারেনি। বরং এ দলের প্রধান শক্তি ছিল বিভিন্ন সুবিধা ভোগীরা। সুবিধা ভোগীদের নিয়ে দল গঠিত হওয়ার ফলে কোন দু:সময়ে তৃনমূল নেতাকর্মীরা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। কারণ যখনি দল ক্ষমতায় থেকেছে, দল সংগঠিত হয়েছে, শক্তিশালী দেখিয়েছে কোন কিছু পাবার আশায়। কিন্তু দলটি যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন কিছু না পেয়ে দলের জন্য নি:স্বার্থভাবে উজাড় করে দেওয়ার মতো শক্তি সামর্থ্য এবং আদর্শনীতি বিএনপির ছিল না।
আদর্শবান বিচক্ষণ নেতা: আওয়ামী লীগে সবসময় দেখা গেছে যে, চরম দু:সময়ে তাদের প্রধান নেতা ছাড়াও কিছু আদর্শবান বিচক্ষণ নেতা আবির্ভূত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ২৫ মার্চ রাতে গ্রেপ্তার হন তখন তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামানের মতো আদর্শবান বিচক্ষণ নেতরা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আবার পঁচাত্তরের পনেরো আগস্টের পর জোহরা তাজউদ্দীন, সাহারা খাতুনরা আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হওয়ার পরও প্রয়াত জিল্লুর রহমান, প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মতিয়া চৌধরীর মত নেতারা আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছে, দৃঢ় করেছে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছে। কিন্তু একই ভাবে বিএনপির ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখি, বিএনপি`র কোন সংকটেই কোন আদর্শবান নেতা বেরিয়ে আসতে পারেনি। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপির ইতিহাস হলো একের পর এক ডিগবাজি দেওয়া ইতিহাস। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এর মতো নেতারা বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে ভিড় করেছেন। আবার বিএনপি যতবার সংকটে গিয়েছে ততবার বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা ডিগবাজি দিয়েছেন এবং মূল নেতৃত্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ওয়ান ইলেভেনও তার ব্যতিক্রম নয়। ওয়ান ইলেভেন সময় একমাত্র খন্দকার দেলোয়ার ছাড়া পুরো বিএনপির নেতৃত্বই সংস্কারপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন অথবা তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে বিভিন্ন স্বার্থের সম্পর্ক গড়েছিলেন। যার কারণে আদর্শবান বিচক্ষণ নেতা না থাকায় বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অস্তিত্ব ওয়ান ইলেভেন সময়ে যে সংকটে পরেছিল সেই সংকট থেকে আর নিজেকে উত্তোলন করতে পারেনি।
রাজনীতির বাইরে কিছু নিঃশর্ত বিশ্বস্ত মানুষ: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের বাইরে একটা নিজস্ব পরিমন্ডল আছেন। বিভিন্ন লেখক বুদ্ধিজীবী সংস্কৃতিমনা চিকিৎসক পেশাজীবীদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সখ্যতা রয়েছে। রাজনীতির বাইরে তাঁদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতির বাইরে তার নিকট আত্মীয় ছাড়া কারো সাথে তার মেলামেশা করার অভিজ্ঞতা নাই এবং সম্পর্ক নাই। যার ফলে শেখ হাসিনা যখন গ্রেপ্তার হয়েছে তখন রাজনীতির বাইরে এই বিশ্বস্ত মানুষগুলো তার মুক্তির জন্য চেষ্টা করেছে, রাজনীতি জীবনে কেউ কলঙ্ক লেপন করতে না পারে সেজন্য তারা পরিশ্রম করেছে এক্ষেত্রে লেখক-বুদ্ধিজীবী চিকিৎসকদের নাম উল্লেখযোগ্য। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার এইরকম কাছের মানুষ না থাকার কারণে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে সিভিল সোসাইটি বলে যাদেরকে আমরা মনে করি সেই পেশাজীবী গ্রুপ, বেগম জিয়ার পক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠতে পারেনি।
খোলামেলা কথা বলার সততা ও সাহস: একজন রাজনীতিবিদের যে একটা বড় গুন তাহলো যে সততা সাহস এবং স্পষ্টবাদিতা। যা শেখ হাসিনার আছে। যখন ওয়ান ইলেভেনের পর তিনি গ্রেপ্তার হন। সেনা সমর্থিত সরকার যখন তার সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করে তখন শেখ হাসিনা ছিলেন স্পষ্টবাদী এবং তার সততা এবং সাহসেই তিনি তৎকালীন সরকারের মন জয় করতে পেরেছেন। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন কম কথা বলা নিরবে নিভৃতে থাকা মানুষ। যার ফলে ওই সময় তার চিন্তা ভাবনা একং অবস্থান কোনটাই যারা সমঝোতা করতে চেয়েছেন তাদের বোঝাতে পারেননি। এখানেই তিনি রাজনৈতিক দৌড়ে পিছিয়ে পড়েন।
শত্রুকে আপন করে নেওয়ার সহজাত ক্ষমতা: শেখ হাসিনার যে কোন মানুষকে আপন করে নেওয়ার একটা সহজাত ক্ষমতা আছে। বিশেষ করে যারা তার চিন্তাভাবনার বাইরে শত্রু ভাবাপন্ন। তারা তাকে আপন করে নিতে পারেন। ওয়ান ইলেভেনে ঘটেছিল ঠিক সেটি। যারা খালেদা জিয়ার অনুকম্পাবেষ্টিত সামরিক অফিসার ছিলেন, তারা যখন শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য গিয়েছিলেন তখন তার কথাবার্তা এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছিলেন। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া আড়ষ্টতা। তার কোন বিষয় নিয়ে সুস্পষ্ট ভাবনা চিন্তার অভাব তাদের মধ্যে বিরক্তির উদ্যোগ নিয়েছিল।
এসব কারণেই ওয়ান ইলেভেনের পর শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনায়ক। রাষ্ট্রনায়ক থেকে বিশ্ব নেতা হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া একজন প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনৈতিক নেতা থেকে একজন দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতা। এখন তিনি মৃতপ্রায় রাজনৈতিক নেতায় পরিনত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।