নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১১ জুন, ২০১৯
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ১১ জুনকে বলা হয় একটা মাইলফলক দিন। কারণ এইদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই নেত্রীর বিপরীত যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপরে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হতে থাকেন বেগম খালেদা জিয়া।
১১ জুনের পটভূমিতেই ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার বিপক্ষে মানুষ গণ রায় দেয়। যেই রায়ের ফল এখনো বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি ভোগ করছে। শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া, দুজনেরই আজকের এই অবস্থানের পেছনে ওয়ান ইলেভেন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বেগম খালেদা জিয়ার আজকের এই পরিনতি কেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়া কতগুলো কাজ করেন না। সেই কাজগুলো না করার জন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে আজকের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে বাংলা ইনসাইডার এরকম ৫ টি কাজ বের করেছেন, যে কাজগুলো বেগম খালেদা জিয়া কখনোই তার রাজনৈতিক জীবনে করেননি। এর মধ্যে;
নিজের এবং তার পুত্র ও নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেননি: বেগম খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক জীবনে তার সম্বন্ধে কোন সমালোচনা। তার ভুল সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোন অভিযোগ এবং তার পুত্রদের ও আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কখনোই আমলে নেননি। বরং এ সমস্ত অভিযোগ যারা উত্থাপন করেছেন, তাদেরকে তিনি রাজনীতি বা কর্মক্ষেত্র থেকে চিরতরে বিতাড়িত করেছেন। এমনকি তার একান্ত বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত তার একান্ত সচিব ও সচিব নুরুল ইসলামকে তিনি চাকরিচ্যুত করেছিলেন স্রেফ তারেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উথ্থাপন করার জন্য। বেগম খালেদা জিয়া কখনোই নিজেদের সমালোচনার ব্যাপারে আপোস করেন না।
তৃনমূলের কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের সাক্ষাৎ: বেগম খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক জীবনে কখনোই তৃনমূলকে গুরুত্ব দেননি। তৃনমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের উল্লেখ করার মতো কোন ঘটনা চোখে পড়েনি। তাদের সঙ্গে সৌজন্যতা বা ভালো ব্যবহার করা বা আপ্যায়ন করা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের মধ্যে কেউ কখনো লক্ষ্য করেনি। তৃনমূলের কাছে তিনি অপ্সরী, দেবী হিসেবেই থাকতে চেয়েছিলেন। তৃনমূলের সঙ্গে এই বিচ্ছিন্নতাই তার আজকের পরিনতির জন্য অনেকাংশে দায়ী বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
নিয়ম করে ফাইল দেখা: নিয়ম করে ফাইল দেখা, পত্রিকা পড়া বা যেকোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রমাণ পড়ার অভ্যাসটি বেগম খালেদা জিয়ার একদমই কখনো ছিলোনা। এই কাজটি তিনি কখনোই করতেন না। বেগম খালেদা জিয়ার অধিকাংশ ফাইল নিস্পত্তি করতেন তার একান্ত সচিব বা সচিব অথবা মুখ্য সচিব। বেগম খালেদা জিয়া শুধু স্বাক্ষর করতেন। বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন এমন একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি ফাইল পড়তেনও না। ফাইল না পড়ার কারণেই একাধিক মামলার মধ্যে ফেঁসে গেছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
যেকোন বিষয়ে নেতাদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলা: বেগম খালেদা জিয়া খোলামেলা আলোচনা তার রাজনৈতিক জীবনে কখনোই করেননি। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক বা মন্ত্রিসভার মতো শীর্ষ বৈঠকে তিনি কথা কম বলেছেন এবং শেষে একটা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছেন। তিনি কখনোই অন্যের মতামত গ্রহণ করা বা দলের মধ্যে যেকোন বিষয়কে উম্মুক্ত লালন করার রীতি গ্রহণ করেননি। যে কারণে তার রাজনৈতিক জীবনে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
পরিবারের উপর দলকে স্থান দেওয়া: বেগম খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক জীবনে কখনোই দলের চেয়ে দেশকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেননি। বরং তিনি সবসময় মনে করতেন যে, সবার আগে তার পরিবার, তারপর দল, তারপর দেশ। যে কারণে দেশের স্বার্থবিরোধী অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেছে যখন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। এছাড়া তিনি পরিবারের স্বার্থ দেখতে গিয়ে দলের স্বার্থকেও জলাঞ্জলি দিয়েছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এসব কারণেই বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করার পরও বেগম খালেদা জিয়াকে আজকের পরিনতি বরণ করতে হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।