নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ১১ জুন, ২০১৯
শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার জন্যই ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১০ মাস ২৫ দিন কারাবরণের পর ১১ জুন ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা মুক্তি পেয়েছিলেন। শেখ হাসিনাকে যারা মাইনাস করতে চেয়েছিলেন। তারাই এখন রাজনীতিতে মাইনাস হয়ে যাচ্ছেন। তারাই এখন দেশে সমাজে এবং রাজনীতি মাইনাস হয়ে গেছেন। শেখ হাসিনাকে যারা মাইনাস করতে চেয়েছিলেন, তাদের অনেকেরই এখন ঠিকানা নেই। অনেকেই দেশে থাকতে পারছেন না। অনেকের নামই ইতিহাস থেকে মুছে গেছে। দেখা যাচ্ছে যে, শেখ হাসিনাকে ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে যারা মূল কুশিলব ছিল, তাদের কার কী অবস্থা:
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফজলুল বারী:
ডিজিএফআইর সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার বারী ওয়ান ইলেভেনের পর চাকরিচ্যুত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হওয়ার পর তিনি লন্ডনে বসবাস করছেন। জানা যায় যে, লন্ডনে তার অবস্থান ভালো নয়। সেখানে তিনি অড জব করে তার জীবন নির্বাহ করছেন।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন:
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে যারা অন্যতম কুশীলব ছিল তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ছিলেন অন্যতম। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন দীর্ঘদিন পর্যন্ত বেশ দাপটেই ছিলেন। কিন্তু এক নারী সাংবাদিককে কটুক্তি করার অপরাধে জেল খাটার পর এখন তিনি চুপসে যাওয়া বেলুনের মতো হয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে মাঝে সক্রিয় হলেও এখন রাজনীতি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ততারও তার কোন খবর পাওয়া যায় না।
জেনারেল (অব:) আব্দুল মতিন:
ওয়ান ইলেভেনের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ছিলেন জেনারেল (অব:) আব্দুল মতিন। তত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব শেষ করে তিনি চট্টগ্রামে আছেন। সেখানে তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে নিভৃত জীবনযাপন করছেন।
জেনারেল হাসান মশহুদ চৌধুরী:
সাবেক সেনা প্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরী ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। নীতিবান হলেও শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে তিনি নীতির জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন। আর ওয়ান ইলেভেনের পর এখন তাকে দেখা যায় না। তিনিও লোকচক্ষুর অন্তরালে জীবন যাপন করেন বলে জানা যায়।
মঈন ইউ আহমেদ:
যদিও মঈন ইউ আহমেদ শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে তেমন উৎসাহী ছিলেন না। কিন্তু তার সহকর্মীদের চাপে এবং রাজনৈতিক উচ্চাবিলাস থেকে তিনি শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন এবং তার সম্মতির কারণেই শেখ হাসিনাকে ১৬ জুলাই ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু মঈন ইউ আহমেদ এখন নিজেই দেশে থাকতে পারেন না। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ:
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার পেছনে যদিও তার কোন ভূমিকাই ছিল না। যেহেতু তিনি তত্বাবধায় সরকারের উপদেষ্টা প্রধান ছিলেন সেহেতু এই গ্রেপ্তারের দায় তিনি কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। বর্তমানে ফখরুদ্দীন আহমদও দেশে থাকেন না। তিনি বিদেশেই অবস্থান করছেন। দেশে আসার মত সৎ সাহসও তার নেই।
ড. মোহাম্মদ ইউনূস:
তিনি ছিলেন মাইনাস ফর্মূলার অন্যতম রুপ পরিকল্পনার নায়ক। ওয়ান ইলেভেন আনার নেপথ্য কারিগর ছিলেন ড. ইউনূস। ইতিহাসের তথ্য প্রমানে এটাই এখন বেড়িয়ে আসে। ড. মোহাম্মদ ইউনূস এখন দেশের চেয়ে বিদেশেই বেশি সামাজিক ব্যবসা এবং অন্যান্য কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন। দেশের রাজনীতির ব্যাপারে তার কোন উৎসাহও নেই।
মতিউর রহমান:
প্রথম আলোর মতিউর রহমান দুই নেত্রীকে সরে যেতে হবে বলে লেখালেখি করে মূলত মাইনাস ফর্মূলার সূচনা করেছিলেন। মতিউর রহমান এখন নিস্প্রভ। পত্রিকার বাইরে অন্য কর্মকাণ্ডে তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না।
মাহফুজ আনাম:
ডেইলী স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পটভূমি রচনার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বর্তমানে মাহফুজ আনামের কর্মকাণ্ড তার পত্রিকার মধ্যেই সীমিত। জাতীকে জ্ঞান দেওয়ার প্রবণতা থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
যারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করেছেন তাদের কারোরই পরিনতি এখন উজ্জল নয়। বরং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা এবং জনমানুষের ভালোবাসা নিয়ে শেখ হাসিনাই এখন আপন মহিমায় উজ্জল।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক
লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি
উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে
কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে
সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ
সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার
জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক
লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায়
এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয়
পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।