ইনসাইড পলিটিক্স

প্রতিদ্বন্দ্বিরা যেভাবে পরাজিত হয় আওয়ামী লীগের কাছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২২ জুন, ২০১৯


Thumbnail

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ নি:সন্দেহে প্রধান এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষন করলে দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই সকল প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে তার রাজনৈতিক প্রচারাভিযান এগিয়ে নিতে হয়েছে। রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ কখনোই ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকে প্রত্যেকটা সময় শক্তিশালি প্রতিপক্ষর সঙ্গে লড়াই করে আওয়ামী লীগকে টিকে থাকতে হয়েছে, এগিয়ে যেতে হয়েছে। রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ কারা এবং কিভাবে ছিল? সেই প্রতিপক্ষদের কিভাবে আওয়ামী লীগ পরাজিত করলো আসুন দেখা যাক: 


মুসলিম লীগ: আওয়ামী লীগ যখন রাজনীতি শুরু করেছিল। সেই রাজনীতির শুরুতেই প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল তৎকালীন পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ সরকার। মূলত মুসলিম লীগ সরকারের অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকেই নির্যাতন, নীপিড়ন এবং নিষ্পেষণের শিকার হয়েছিল। কারণ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে দাড়াতে দিতে চাচ্ছিল না। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যেন বিকশিত না হতে পারে সেজন্য যা যা করার দরকার, তার সবই করেছিল ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কারাবরণ জেল জুলুম নীপিড়ন নির্যাতনের ইতিহাস যারা বিন্দুমাত্র জানেন, তারাই জানেন যে আওয়ামী লীগের ওপর কি বিভৎস রকম নীপিড়ন হয়েছিল। কিন্তু এই নীপিড়নে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারেনি মুসলিম লীগ। বরং মুসলিম লীগই নিষ্পেষিত হয়েছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের নাম নিশানা মুছে দিয়েছে বাংলাদেশের জনগন। সত্তরের নির্বাচনের মাধ্যমে মুসলিম লীগকে চুড়ান্তভাবে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

জাসদ: স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উদ্বেলিত হয়েছিল জাসদ। বাইরে বৈপ্লাবিক সমাজতন্ত্রের আওয়াজ তুললেও জাসদ মূলত ছিল স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এবং বিভ্রান্ত বামদের এক প্লাটফর্ম। এই জাসিই জ্বালাও পোড়াও এবং নানা রকম কুৎসা রটানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে কোনঠাসা করার চেষ্টা করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাসের ক্ষেত্রে জাসদের প্রপাগাণ্ডা মিথ্যাচার এবং ভ্রান্ত রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বিশেষকরে জাসদের গণবাহিনীর সশস্ত্র তৎপরতা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটিয়েছিল। যার দায় উঠেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপর। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পটভূমি তৈরীতে জাসদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।কিন্তু এই জাসদ তার অস্তীত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেনি। জাতির পিতার মৃত্যুর পর জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কর্ণেল তাহেরও জিয়াউর রহমানের নির্মমতার শিকার হন এবং জাসদ দিকভ্রান্ত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। এখন বহু বিভক্ত জাসদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে মূল্যহীন। দুটি অংশ আওয়ামী লীগের লেজুরভিত্তি করে কোনরকম অস্তীত্ব টিকিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব নেই। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এই প্রতিপক্ষ নি:শোষিত হয়েছে।

বিএনপি: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের তৃতীয় প্রতিপক্ষ বিএনপি। মূলত ৭৫ এর ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি হিসেবে বিএনপি আত্মপ্রকাশ করে। বিএনপির প্রধান লক্ষ্যই ছিল আওয়ামী লীগকে নি:শেষ করে দেওয়া। জিয়াউর রহমান তার বিভিন্ন বক্তৃতায় বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ নামের কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকবে না। শুধু জিয়াউর রহমান না, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপির চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াও ঘোষণা করেছিলেন যে, আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব বিলীন করতে হবে এবং দেশে আওয়ামী লীগ নামে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না। এ প্রসঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালের ২৩শে জুন এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘এবার নৌকাকে মাটির নিচে পুতে ফেলতে হবে।‘ ১৯৮১ সাল থেকেই আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়েছিল বিএনপি। বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রায় দেড় লাখ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্টে জানা যায়। ৭৫এর পর থেকে ৮১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রায় ৮লক্ষ নেতাকর্মীকে কারাবরণ করতে হয়েছিল। এই সবকিছু করার পরও রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধান আশ্রয়স্থল বিএনপি এখন নিজেরাই রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আওয়ামী লীগ তার প্রবল প্রতিপক্ষকে শুধু জনগণের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এবং ভোটের রাজনীতিতে রাজনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

জাতীয় পার্টি: আওয়ামী লীগের স্বল্পকালীন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল জাতীয় পার্টি। ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। যেকোনো সামরিক শাসকরা ক্ষমতা গ্রহণ করলেই প্রথম আক্রান্ত হয় আওয়ামী লীগ। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনৈতিক দল। এসময় জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ভাঙার কৌশল নিয়েছিল। আওয়ামী লীগ থেকে অনেকে বেরিয়ে গিয়ে অনেকে বেরিয়ে গিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিল। ১৯৮৬র নির্বাচনে মিডিয়া কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করেছিল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি। কিন্তু জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগের একটি লেভেল ছাড়া কিছুই নয়। মহাজোটের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রশংসা করা এবং গৃহপালিত বিরোধী দল হিসেবে কাজ করাই জাতীয় পার্টির প্রধান রাজনৈতিক ধর্ম। এভাবেই আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলটি আওয়ামী লীগের একান্ত অনুগত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।

শুধু এই কয়টি রাজনৈতিক দল ছাড়াও প্রচন্ড আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দল বিলীন হয়ে গেছে বা কেউ কেউ আওয়ামী লীগের লেজুরবৃত্তি করে দিন কাটিয়ে দিচ্ছে। ৭৫এর ১৫ আগসটের আত্মস্বীকৃত খুনিদের দল ফ্রিডম পার্টি বা ডেমোক্র্যাটিক লীগের মত দলগুলো বিলীন হয়ে গেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচক চীনপন্থি দলগুলো, সাম্যবাদী দল ওয়ার্কার্স পার্টি এখন আওয়ামী লীগের গভীর মিত্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটাই একটা অদ্ভুত বাস্তবতা যে, যে রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের যত বেশি প্রতিপক্ষ হয়েছিল সেই রাজনৈতিক দলগুলো এখন ততটাই দেউলিয়া, নিঃস্ব হয়ে গেছে। হয় তাঁদেরকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে রাজনীতি করতে হচ্ছে অথবা সেই দলগুলোই বিলুপ্তপ্রায়।

বাংলা ইনসাইডার/এসআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনটি দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো খুব সুস্পষ্ট। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে যাব না। তার মতে, এই কারণেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বিএনপির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে দুই শতাধিক বিএনপির প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ জন ছাড়া কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সংহত বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপি ইউটার্ন নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপি এক্ষেত্রে অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে বলেই দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলছেন যে, বিএনপি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উপযুক্ত সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও ওই নেতা অভিমত ত্যক্ত করেছেন। 

বিএনপির আশা ছিলো স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় হয়তো বিএনপির নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার বিপরীত। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং তৃতীয় দফাতেও আনুপাতিক হারে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকায় নেতারা যত বেশি জনবান্ধব তারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন, সংগঠন রক্ষা করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই তারা দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন তোয়াক্কা করছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বিএনপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে কোন কোন উপজেলায় যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে ওই এলাকাটি বিএনপি শূন্য হয়ে যাবে। এ কারণেই বিএনপি এখন তাদের সিদ্ধান্তকে পুনঃমূল্যায়ন করছে। কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপি ইউটার্ন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জানার এখতিয়ার বিএনপির ঢাকার কোন নেতার নেই। লন্ডন থেকে কি বাণী আসে তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেঁচে যাচ্ছেন রাজ্জাক, ফেঁসে যাচ্ছেন শাজাহান খান

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাচনে কোন্দল বিভক্তি এবং আধিপত্য ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই নির্দেশনার মধ্যে সবচেয়ে বড় নির্দেশনা ছিল মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কয়েক দফা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা একমাত্র প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ছাড়া কেউই মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না এবং আগামী ৩০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তার কঠোর মনোভাবের কথা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের যারা সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এরকম ব্যবস্থা যদি শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছেন। গতকাল তাকে এ ব্যাপারে ইঙ্গিতও দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে শাজাহান খানকে ভর্ৎসনা করেছেন বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।

অন্যদিকে ড. রাজ্জাক তার খালাতো ভাইকে প্রার্থী করলেও এই যাত্রায় তিনি বেঁচে যাচ্ছেন। কারণ আওয়ামী লীগ আত্মীয়স্বজনদের ব্যাপারে যে নীতিমালা গ্রহণ করেছে তাতে বলা হচ্ছে যে, যদি কোন স্বজন আগে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকেন তবে তার প্রার্থী হতে কোনও অসুবিধা নেই। আগে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন ড. রাজ্জাকের খালাতো ভাই। কাজেই এবার তিনি প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি নীতির আওতায় পড়বেন না। আর এ কারণেই তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বলেও জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, যে সমস্ত প্রার্থীরা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন তারা এবার প্রার্থী হবেন। এমনকি তারা কোন নেতার স্বজন হলেও প্রার্থী হতে অসুবিধা নেই। এই বিবেচনায় ড. রাজ্জাক এ যাত্রায় বেঁচে যাচ্ছেন।

তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়গুলোকে ইতিবাচক ভাবে নেননি। হয়তো তিনি সরাসরি শাস্তির হাত থেকে বাঁচবেন, তবে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত এই সিদ্ধান্তে কতটা উজ্জ্বল হবে সেটি সময়ই বলে দেবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন