নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ২৫ জুন, ২০১৯
বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হতে এবার বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে দলটি। শর্তানুযায়ী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা প্রার্থী হবেন তাদের অবশ্যই ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে।আগামী ১৫ জুলাই তারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
সোমবার ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কাউন্সিল-২০১৯ উপলক্ষে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, প্রার্থীর যোগ্যতা ও আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে এসব বলা হয়েছে।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন তাদের সম্পর্কে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা কমিটির সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, প্রথম যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা কাউন্সিলর হবেন। তারা ভোট দিয়ে তাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন। এছাড়া যেখানে আহ্বায়ক কমিটি আছে সেখানে আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ কমিটির প্রথম তিনজনসহ মোট পাঁচজন ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন।
প্রার্থীদের যোগ্যতা সম্পর্কে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১. সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রত্ব আছে এমন প্রমাণপত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে। প্রার্থীকে ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে এবং পাসের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে এবং সব সার্টিফিকেটের মূলকপি সঙ্গে আনতে হবে।
এ ছাড়া প্রার্থীকে ২০০০ সালের এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। তবে রেজিস্ট্রেশন অবশ্যই ১৯৯৮ সালের হতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রমাণের জন্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পাসের সার্টিফিকেট ও রেজিস্ট্রেশন কপি জমা দিতে হবে।
এবং ছাত্রদলের প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে, প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিট থেকে প্রাথমিক সদস্য সাবেক অথবা বর্তমান পদের প্রত্যায়ন পত্র দাখিল করতে হবে, যদি কোনো প্রার্থী কাস্টিং ভোটের ১০ শতাংশ ভোট না পায় তাহলে পরবর্তী কমিটিতে কোনোভাবে অর্ন্তভুক্ত হতে পারবে না, প্রত্যেক প্রার্থীকে অবশ্যই সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের পাঁচ কপি রঙিন ছবি সত্যায়িতসহ দাখিল করতে হবে।
প্রার্থীদের আচরণবিধি সম্পর্কে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১. প্রত্যেক প্রার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করতে হবে। কোনোভাবে প্যানেল দেওয়া যাবে না। ২. কোনো প্রকার পোস্টার, ব্যানার এবং গণমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না। ৩. কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ আপ্যায়ন বা কোনো ধরনের উপহার সামগ্রী দেওয়া যাবে না। ৪. গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার, সংবাদ সম্মেলন ও টকশোতে কোনো প্রার্থী অংশ গ্রহণ করতে পারবে না, ৫. প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনার জন্য শুধু ভিজিটিং কার্ড বা সাদাকালো লিফলেট ব্যবহার করতে পারবেন, ৬. নির্বাচনের দিন প্রার্থীরা অথবা তার কোনো সমর্থক কোনো মিছিল-সমাবেশ-প্ল্যাকার্ড-স্লোগান-ভিজিটিং কার্ড এবং লিফলেট বিতরণ করে ভোট প্রার্থনা করতে পারবেন না। ৭. কোনো প্রার্থী যদি উল্লিখিত আচরণবিধি লংঘন করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।