নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০১৯
কট্টর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আর্দশে বিশ্বাসী এবং জিয়া ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা বহু গ্রন্থের লেখক ও রাজনীতিবীদ ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করায় আওয়ামী লীগে তোলপাড় চলছে। বিশেষকরে তৃণমূল নেতারা বিষয়টি সহজভাবে নেননি। জিয়া-খালেদার গুণকীর্তনকারী ইনাম আহমদ চৌধুরী বিএনপির রাজনীতিতে থাকাকালে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট ১ আসনে দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপি ত্যাগ করে চলে যান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। ওই সময় তাকে দলীয় কোনো পদ না দেওয়া হলেও ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় কোনো পদ দেয়া হতে পারে এমন গুঞ্জন ছিল। অবশেষে তাকে পুরস্কৃত করেছে আওয়ামী লীগ। দলটি তাকে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে।রবিবার (৭ জুলাই) রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর দলের ২০তম কাউন্সিলের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দলীয় সভানেত্রী এ মনোনয়ন দেন।
ইনাম আহমদ গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার আগে ইনাম আহমেদ বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন সাবেক কূটনীতিক ও আমলা ইনাম আহমেদ চৌধুরী। প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত মনোনয়নে বাদ পড়েন তিনি। পরে এই আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুল মুক্তাদিরকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।