ইনসাইড পলিটিক্স

কাদেরই সরকারের দ্বিতীয় ব্যক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০৫ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে এসে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে সরকারের দ্বিতীয় ব্যক্তিটি কে। যেকোনো সংসদীয় গণতন্ত্রে যেমন ছায়া মন্ত্রিসভা থাকে, সেরকম সরকারের একজন দ্বিতীয় ব্যক্তিও থাকে। যিনি সরকার প্রধান বা প্রধান নির্বাহীর অনেক নির্দেশনা পালন করেন। প্রধান নির্বাহীর অবর্তমানে সরকার এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কাজটিও করে থাকেন। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময়েও সরকারের দ্বিতীয় ব্যক্তির প্রচলন ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তাজউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকে একক কর্তৃত্বে দেশ চলতে থাকে। সেখানে সরকার পরিচালনায় অবিশ্বাসেই বসবাস ছিল সবচেয়ে বেশি। যে জন্য জিয়াউর রহমান কাউকে বিশ্বাস করতেন না। তাই তার ক্ষমতা চলাকালে তিনি কোনো দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে রাখেননি। যাবতীয় ক্ষমতা তিনি নিজের কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। একই ঘটনা ঘটেছিল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ক্ষেত্রেও।

৯১ তে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পরেও সরকারের মধ্যে অনেকে ক্ষমতাশালী হলেও সরকারের ঘোষিত বা দৃশ্যমান কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবারের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দ্বিতীয় ব্যক্তির নানামাত্রিক অবস্থান ছিল। যেমন সংসদে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে সংসদ উপনেতা। আবার সরকার পরিচালনায় দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর পরে যিনি জ্যৈষ্ঠমন্ত্রী তিনি থাকতেন। আবার দলের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদকই দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেতেন। কিন্তু তৃতীয় মেয়াদে এসে সরকারের একজন দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে দৃশ্যমান হয়েছেন। তিনি হলেন ওবায়দুল কাদের। সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদনেতা অবশ্যই শেখ হাসিনা। সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বেগম সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। বেগম সাজেদা চৌধুরী সংসদ উপনেতা হিসেবে যতটা না কার্যকর, বরং বয়ঃপ্রবীণ এবং সম্মান জানানোর জন্যই তাকে এই পদটি দেওয়া হয়েছে তা বুঝতে কোনো গবেষক হওয়ার প্রয়োজন হয় না। শারীরিকভাবে অসুস্থ এই শ্রদ্ধেয় নেতার সংসদ কার্যক্রমে তেমন উপস্থিতি চোখে পড়ে না। কাজেই সংসদ উপনেতার পদটি এখন আলংকারিক পদে পরিণত হয়েছে।

২০০৯ থেকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া আওয়ামী সরকারে প্রথম এবং দ্বিতীয় মেয়াদে যেমন আবুল মাল আব্দুল মুহিত যেমন স্পষ্টতই ছিলেন মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। মন্ত্রিসভার অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিতেন। আবার ২০০৯ সালের পরে কিছুদিন সরকারের দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা (বর্তমানে রাজনৈতিক উপদেষ্টা) এইচ টি ইমাম। পরবর্তীতে এইচ টি ইমামের ক্ষমতা খর্ব হয়েছিল। তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে যে সংসদের কার্যক্রম, সংসদের বাইরে দল পরিচালনা এবং সরকার পরিচালনা- এই তিনটি ক্ষেত্রে ওবায়দুল কাদেরই দৃশ্যমান। তিনিই যে দ্বিতীয় ব্যক্তি তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হওয়ার পরে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল, অসুস্থতা কাটিয়ে তিনি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন এবং দলের সকল কর্মকাণ্ডে তাকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি সরকারের মূখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য যে, দেশে যখন গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয় তখন প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে গিয়েছিলেন। গ্যাসের দামবৃদ্ধি যে যৌক্তিক হয়েছে, তা সরকারের মূখপাত্র হিসেবে অর্থমন্ত্রী নয় বা জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী বা উপদেষ্টা নয়, বরং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরই সেই বিষয়ে কথা বলেছেন। রিফাত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের মূখপাত্র হিসেবে কথা বলেছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। চীন সফ শেষে আজ যখন প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করলেন, সেখানে তিনজন ব্যক্তি মাত্র মঞ্চে ছিলেন। এদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাটা অবশ্যই যৌক্তিক। আর প্রধানমন্ত্রীর আরেকপাশে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। তাকে রাখার মধ্যে দিয়েই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে দিলেন যে ওবায়দুল কাদেরই হলেন সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রীরা তাদের মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেই কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগসূত্র রক্ষা করা, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিভাগকে নির্দেশনা করা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানগুলোকে ব্যাখ্যা করা ওবায়দুল কাদেরেরই প্রধান কাজ। একই সঙ্গে তিনি দল পরিচালনা করছেন এবং দলের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সংসদে উপনেতা যেহেতু বয়ঃজ্যেষ্ঠ এবং অসুস্থ তাই সংসদে কখন কি বলতে হবে, কোন বিষয়কে কখন প্রাধান্য দিতে হবে সেগুলো বিষয়ে তিনিই পরামর্শদাতা। সংসদীয় গণতন্ত্রের এটাই নীতি যে, সবসময় একজন দ্বিতীয় ব্যক্তি দলে থাকেন যিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সরকার এবং রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য কর্তৃত্ববান হন। সেদিকেই আওয়ামী লীগ যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে হিট অ্যালার্টের মধ্যে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়ের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে দেশের আবহাওয়া অত্যন্ত উষ্ণ হয়ে পড়েছে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একদিকে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে অনাবৃষ্টিতে মানুষ, পশু-পাখি ও জীব-জন্তুর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীনই আমাদেরকে এহেন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন। 

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক-শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একজন রিকশাওয়ালা প্রচণ্ড গরমে মারা গেছেন। দেশে বিরাজমান এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার অবারিত রহমত তথা বৃষ্টি কামনা করে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ করার জন্য ওলামায়ে কেরাম, জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসী সবার প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। 

এই জামায়াত নেতা বলেন, এ জন্য আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর সকল সাংগঠনিক শাখার উদ্যোগে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সালাতুল ইস্তিসকার আদায়ের কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

জামায়াত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোট ছাড়াই তারা চেয়ারম্যান হচ্ছেন

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী  ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।

এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।

তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।



উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপতৎপরতা সফল হবে না: নানক

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, একটি কুচক্রি মহল বরাবরের মতো এখনো দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাদের এ অপতৎপরতা সফল হবে না। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) গুলশানের এসকট প্যালেস হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত Leo Tito L. Ausan Jr. রচিত " Sleepless in Dhaka and Other Poems" শীর্ষক কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আজ বাংলাদেশকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। তারা বিচার বিশ্লেষণ করছে কিভাবে ছোট এই দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন সম্প্রতি মার্কিন একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে আটলান্টিক কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কিত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

মন্ত্রী নানক বলেন,  বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিদেশীদের মাঝে যে আগ্রহ আছে ফিলিপাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব লিও অসাম এর কবিতার বই প্রকাশ তার প্রমাণ। তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, তার সম্পর্কে জানতে। সেখানে সব কিছু দেখে তার যে উপলব্ধি তা তিনি কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কেও জেনেছেন এবং তা তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। বাংলাদেশে মাত্র একবছর সময়কালে আহসান মঞ্জিলসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছেন। ঢাকায় রিক্সা দেখে একে ঢাকার ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জর্জ হ্যারিসন এবং পন্ডিত রবি শংকরসহ যারা বিশ্ববাসীর সমর্থন পেতে সাহায্য করেছেন তাদেরকেও তিনি কবিতার মাধ্যমে স্মরণ করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেমন কবিতা লিখেছেন তেমনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়েও কবিতা লিখেছেন। আমার ভালো লেগেছে রাষ্ট্রদূত লিও পাট থেকে তৈরি স্যুট পড়েছেন এবং কবিতার ভাষায় তা প্রকাশ করেছেন। আপনার জানেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি পাট ও পাটজাত পণ্যের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের জলবায়ু পরিবর্তন কমিশনের মন্ত্রী রবার্ট ই. এ. বোরজে, বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক কেবিনেট সচিব মোশাররফ হোসাইন ভুইয়া, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মিশন প্রধান, কূটনীতিকসহ বাংলাদেশের মিডিয়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার সমাবেশ স্থগিত করল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ সমাবেশ করার কথা ছিল দলটির।

সোমবার (২২ এপ্রিল) পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

তিনি বলেন, ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ পুলিশ অনুমতি দেয়নি। যার কারণে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।

এর আগে দুপুরে তীব্র দাবদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।


শান্তি সমাবেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন