নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০১৯
জাতীয় সংসদ অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই মন্ত্রিসভার রদবদল হবে বলে খবর পাওয়া গেছে। মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে জানা গেছে যে, মন্ত্রিসভা রদবদলের জন্য তারা প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার রদবদলের জন্য সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং মন্ত্রিসভায় নতুন কাকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে সে ব্যাপারে তিনি হোমওয়ার্ক করছেন বলেও প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, মন্ত্রিসভার কাজের গতি বৃদ্ধি এবং সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্যই এই রদবদল হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, মন্ত্রিসভার রদবদল বলার চেয়ে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ বলাটাই সমীচিন হবে। কারণ এই মন্ত্রিসভায় কোন মন্ত্রী বাদ পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম বা একেবারেই নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ অন্তর্ভূক্ত করা হবে। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ৮ থেকে ১০ জন নতুন মুখ এবার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন। এদের মধ্যে অর্ধেকই হবেন সংসদ সদস্য নয় এমন ব্যক্তিরা। সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকেও চার থেকে পাঁচজন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভায় এক দশমাংশ অনির্বাচিত ব্যক্তি থাকতে পারেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় মোস্তফা জব্বার এবং শেখ আব্দুল্লাহ অনির্বাচিত সংসদ সদস্য।
একটি সূত্র আভাস দিয়েছে, কাজে গতি আনার জন্য মন্ত্রণালয়গুলোতে পরিবর্তন আনা হতে পারে। বিশেষ করে যেসমস্ত মন্ত্রণালয়গুলোতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জড়িত, সেই সমস্ত মন্ত্রণালয়ে কাজে গতি আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে। একটি সূত্রমতে নতুন মন্ত্রিসভায় মনোনয়নবঞ্চিত চার গুরুত্বপূর্ণ নেতার অন্তত দুজন যে মন্ত্রী হচ্ছেন তা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে বলা যায়। কিন্তু কারা হচ্ছেন সে ব্যাপারে কোন নিশ্চিত তথ্য জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা জানিয়েছেন যে, মন্ত্রিসভায় রদবদল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী তার স্বীয় বুদ্ধি বিবেচনা এবং সরকারের সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ও পরিবর্তন করবেন। এটা একান্তই তার সাংবিধানিক ক্ষমতা। একাধিক সূত্র বলছে যে, আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত দুজন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান এবং দুজন সাংগঠনিক সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিএম মোজাম্মেল মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন।
দুজন সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিএম মোজাম্মেল। এদের মধ্য থেকে অন্তত দুজন মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারে। অন্য একটি সূত্র বলছে, মাহাবুব আলম হানিফকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এমন তালিকায় ড. হাবিবে মিল্লাতের নাম রয়েছে। নাম রয়েছে ৯৬সালে মন্ত্রিসভার সদস্য আবদুল মতিন খসরুরও। এছাড়া নারীদের মধ্য থেকেও এক থেকে দুজন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলেও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন যে, আগামী ১১ই জুলাই বর্তমান বাজেট অধিবেশন শেষ হচ্ছে। বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার পরপরই মন্ত্রিসভার রদবদল হতে পারে।
বর্তমান মন্ত্রিসভায় মোস্তফা জব্বার এবং শেখ আবদুল্লাহ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভার রদবদল একটি রুটিন ওয়ার্ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন প্রয়োজন মনে করেন তখনই তিনি এ রদবদল করতে পারেন। মন্ত্রিসভার রদবদল প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ক্ষমতা। তাই এ ব্যাপারে কোনো আগাম মন্তব্য করা সঠিক নয় বলে তিনি মনে করেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।