নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ১২ জুলাই, ২০১৯
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতাকারীদের শাস্তি দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে যেসব সাংসদ, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের নেতা কাজ করেছেন, তাঁদের শোকজের (কারণ দর্শানো) চিঠি পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া যাঁরা নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের সাংগঠনিক পদ স্থগিত করার পাশাপাশি শোকজ করা হচ্ছে। শোকজের পর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্তত ৬০ জন মন্ত্রী-সাংসদ দলীয় শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, কাল শনিবার থেকেই শোকজের চিঠি দেওয়া শুরু হবে।
জানা গেছে, এর আগে গত মার্চে অনুষ্ঠিত চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৫৫ জন সাংসদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পাওয়া যায়। এপ্রিলে শোকজ করার কথা থাকলেও অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সময় নেওয়া হয়। পরে পঞ্চম ধাপের উপজেলা নির্বাচনেও অনেকে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করেন। তাই দলের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা শাস্তির পক্ষে মত দেন। সব মিলে ৬০ জন সাংসদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আছে, যাঁদের মধ্যে অন্তত ৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় অধিকাংশ উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে ১৪০টি উপজেলায় জয় পেয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাজ করায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন হারাতে পারেন সাংসদেরা। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। এর আগে ৭ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও একই রকম আভাস দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি ড. মঈন খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।
অবশেষে জিয়া পরিবার মুক্ত হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কবে, কখন, কীভাবে এ পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে কেউ কোন সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। তবে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপিতে পরিবর্তনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলেও দায়িত্বভার না নিতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ চার আইনজীবীকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তবে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দেন বিএনপিপন্থি এ আইনজীবী নেতা।