নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৬ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০১৯
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একজন সাবেক সেনাপ্রধান ছিলেন, যাকে সেনাপ্রধান করেছিলেন জিয়াউর রহমানই। এরশাদ ৯বছর সেনাপ্রধান ছিলেন, তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা ছিলেন, সংসদ সদস্য থাকাকালীনই তিনি মারা গেছেন। অতীতে তাকে নিয়ে যতই সমালোচনা আর বিতর্ক থাকুক না কেন, একজন সংসদ সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং সাবেক সেনাপ্রধান- যিনি কিনা বিএনপির আমলেই সেনাপ্রধান হয়েছিলেন, তার মৃত্যুতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো শোক জানানো হয়নি। এটা একটা অস্বস্তিকর ব্যাপার।
কারণ আমাদের দেশের একটা শিষ্টাচার হলো, যাই হোক না কেন একটা মানুষের মৃত্যুতে আমরা শোকসন্তপ্ত হই, তার মৃত্যুতে আমরা সমবেদনা জানাই। এমনকি শত্রুর মৃত্যুতেও সমবেদনা জানানোর একটা সংস্কৃতিও বাংলাদেশে চালু রয়েছে। কিন্তু সেখানে বিএনপি কিছুটা বিরল এবং ব্যতিক্রম। যারা বিভিন্ন সময়ে বিএনপি থেকে অন্যদলে গিয়েছিল বা দল থেকে বহিস্কার হয়েছিল- তাদের মৃত্যুতেও বিএনপি কোনোরকম প্রতিক্রিয়া জানায়নি। যেমন বিএনপির প্রভাবশালী মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়ার মৃত্যুতে বিএনপি কোনো শোক জানায়নি। বিএনপির নিযুক্ত রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড: ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মৃত্যুতেও বিএনপি কোনো শোক জানায়নি।
বাংলাদেশে অসুস্থ রীতির যে সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতিকে যে বিএনপি ধারণ করছে- এরশাদের মৃত্যুর পর কোনো শোক বা প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে বিএনপি সেটা আরেকবার প্রমাণ করলো।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।