নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৪ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০১৯
জাতীয় পার্টির সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক রাজনীতিতে আসছেন বলে গুঞ্জন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের সঙ্গে তিনি অকপটে তার বর্তমান ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।
রাজনীতিতে আসছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিদিশা বলেছেন, ‘প্রশ্নই আসে না। আপাতত রাজনীতিতে আসার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই। আমার এবং এরশাদ সাহেবের সন্তান এরিককে নিয়েই আমার মূল চিন্তা। রাজনীতি কিংবা অন্য কোনো বিষয় নিয়েই আমি এখন ভাবছি না।’
বিদিশা আরও বলেন, ‘এরিককে আমার সঙ্গে দেখা তো করতে দেওয়া হচ্ছেই না, এমনকি কথাও বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এরিকের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রেসিডেন্ট পার্কের কাজের লোকদের ফোন দিলেও তারা ফোন ধরছে না। আমি আমার ছেলেকে নিয়ে চিন্তিত। এরিককে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে। আমি এখনও দেশে আছি শুধুমাত্র এরিকের জন্য। এর বাইরে রাজনীতি বা অন্যকিছু নিয়ে আমার কোনো চিন্তা-ভাবনা বা আগ্রহ নেই।’
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বিদিশার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় এরশাদের। এরশাদ-বিদিশা দম্পতির সন্তান এরিক এরশাদ। বিচ্ছেদের পরে আদালতের আদেশে এরিকের দায়িত্ব পান এরশাদ। এরিকের বয়স এখন ১৮ বছর। এরিক বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে বাবা এরশাদের সঙ্গে থাকতেন। জানা যায়, প্রেসিডেন্ট পার্ক এরশাদ জীবদ্দশায় এরিকের নামে লিখে দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।