নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৫ এএম, ০৯ অগাস্ট, ২০১৯
দীর্ঘদিন ধরেই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কারান্তরীণ বেগম খালেদা জিয়া। কবে তিনি কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরবেন তার কোন দিনক্ষণ এখনো চুড়ান্ত হয়নি। কারাগারে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের দুটি কেবিন দখল করে তিনি আরাম আয়েশেই জীবন কাটাচ্ছেন। এরমধ্যে মাঝেমধ্যে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ব্লাড টেস্ট ছাড়া অন্যকোন স্থাস্থ্যসেবা তাকে প্রদান করা হচ্ছে না। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বলেছে, বার্ধক্যজনিত অসুখ ছাড়া তার বড় ধরনের কোন সমস্যা নেই। তারপরও তিনি কেন হসপিটালে আছেন সে এক বড় প্রশ্ন।
কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত উল্লসিত দেখা যাচ্ছে বলে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিশেষ করে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার উল্লাস আর লুকোছাপা থাকেনি। তিনি প্রতিনিয়ত খোঁজ নিচ্ছেন ডেঙ্গুতে কত রোগী মারা গেল, কত রোগ অসুস্থ হলো। তিনি প্রায়ই মুখ চেপে হেসে জিজ্ঞেস করছেন যে, সর্বশেষ গুজব কি? বেগম খালেদা জিয়ার এই উল্লাসের কারণ অবশ্য অজানা নয়। এই সরকারের ১১ বছরের মেয়াদে প্রথম ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং গুজব সন্ত্রাস নিয়ে একটু চাপের মধ্যে আছে। আর এই চাপটাকে উপভোগ করছেন বেগম খালেদা জিয়া।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।