নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০১৯
বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী তার দলের মেয়র, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এবং সরকারী কর্মকর্তাদেরকে সমর্থন করেছেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই মেয়রসহ বেশ কিছু সরকারী কর্মকর্তার কাজে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঘনিষ্ঠজনদের কাছে। প্রকাশ্যে না বললেও প্রধানমন্ত্রী তার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ ব্যাপারে উষ্মা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেই বলেছেন যে, আমি দেশে না থাকলেই কোন কিছু ঠিকমতো চলে না। উলট পালট হয়ে যায় সবকিছু। ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রথম থেকে সচেতনতা সৃষ্টি কেন করা হয়নি, আগে থেকে কেন সিটি কর্পোরেশনগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা ছাড়া অন্যান্য কর্মকর্তারা কতটকু কি দায়িত্ব পালন করেছেন এ ব্যাপারগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তবে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই তিনি মেয়র, মন্ত্রী বা সরকারী কর্মকর্তাদের প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন না।
সরকারী ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে যে, প্রথমত; বাংলাদেশের যে সংস্কৃতি তাতে প্রধানমন্ত্রী যদি সরাসরি তাদের সমালোচনা করেন, তাদেরকে ডিফেন্ড না করেন, সেক্ষেত্রে তাদের আর দায়িত্ব পালন করার কোন যৌক্তিকতাই থাকে না। দ্বিতীয়ত; প্রধানমন্ত্রী যদি প্রকাশ্যে তাদের সমালোচনা করেন, সেই ব্যর্থতার দায়- দায়িত্ব সরকারের ওপরই পৌঁছায়। তখন সরকার বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়। তৃতীয়ত; মেয়র-মন্ত্রী- এমপিদের ব্যর্থতা আসলে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই জনগনের সামনে উপস্থাপিত হবে। এরফলে সরকারের ওপর একটা বাড়তি চাপ তৈরী হবে। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে দুই মেয়রের সমালোচনা করছেন না।
তবে দুই মেয়রকে আজকালের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী গণভবনে ডাকবেন এবং ডেঙ্গু মোকাবিলায় কর্মকৌশল নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, দুই মেয়রের জন্য এটাই শেষ সুযোগ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তারা ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেন। বিশেষ করে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল এবং মশা নিধনে যদি সফল হতে পারেন, তাহলেই হয়তো সামনের নির্বাচনে তাদের নিয়ে আবার চিন্তাভাবনা করা হবে, না হলে তারা যে আগামী মেয়র নির্বাচনে মনোনিত হচ্ছেন না তা মোটামুটি নিশ্চিত। শেষ সুযোগটা দুই মেয়র কিভাবে নেন সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন