নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০১৯
টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার টানা ৭ মাস পূর্ণ করেছে। এই ৭ মাসে আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দামহীন এবং সমন্বয়হীন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার পুরোপুরিভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। মূলত তার সিদ্ধান্তের দিকেই পুরো সরকার তাকিয়ে থাকেন। এই ৭ মাসে সরকারের কিছু সাফল্য আছে, কিছু ব্যর্থতাও আছে। তবে ৭টি ক্ষেত্রে সমালোচনায় সরকার অন্যান্যবারের মতো স্বাচ্ছন্দ্যে নেই বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। যে ৭টি সমালোচনায় সরকার বিদ্ধ হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে;
১. ডেঙ্গু সমস্যা: গত জুন মাস থেকেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি আস্তে আস্তে খারাপ হতে থাকে। আগস্ট মাসে এসে তা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ডেঙ্গু মোকাবিলায় তারা সম্ভব্য সবকিছু করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে ঢাকাবাসী দুই মেয়রের ওপর প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করছে। এছাড়াও ডেঙ্গু মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারেনি বলেই সাধারন মানুষ মনে করছে।
২. গুজব সন্ত্রাস: টানা ৭ মাসের সরকারে একটি সমস্যা হিসেবে দেখা গেছে গুজব সন্ত্রাস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক নানা রকম গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এই গুজব সন্ত্রাস মোকাবিলা করার জন্য সরকার নানা রকম কথা বললেও বাস্তব ক্ষেত্রে তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। গুজব সন্ত্রাস সরকারের অন্যতম একটি ব্যর্থতা বেলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন।
৩. মন্ত্রীদের কাজের সমন্বয়হীনতা: টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে কাজের সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা গেছে। দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি নিজেই মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেছেন, ফটোসেশন করবেন না। দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতা স্পষ্টভাবে চোখে পড়েছে এবং এটি একটি সরকারের বড় সমালোচনার দিক বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
৪. কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতা: টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীরা নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। নানা রকম কথা বলছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কথা এবং কাজের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। হাতিরঝিলের বিষফোড়া হিসেবে খ্যাত বিজিএমই ভবন ভাঙ্গার কথা বলা হয়েছিল আরো ৬ মাস আগে। কিন্তু বিজিএমই ভবন এখনো বহাল তবিয়তে দাড়িয়ে আছে। বিজিএমই ভবন ভাঙ্গার জন্য দিন তারিখ দেওয়া হয়েছে কয়েকবার, কিন্তু কোন তারিখেই বিজিএমই ভাঙ্গার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পরও যে সমস্ত প্রতিশ্রুতিগুলো দেওয়া হয়েছিল তা পূরণ করা হয়নি। মন্ত্রীদের লাগামহীন কথাবার্তা এবং কথা ও কাজের সমন্বয়হীনতায় মানুষের মধ্যে বিরক্তী তৈরী হয়েছে।
৫. দুর্নীতি: টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দুর্নীতি একটি বড় ইস্যু হিসেবে সামনে এসেছে। বিশেষ করে রুপপুর পারমানবিক প্রকল্পে বালিশ কেলেঙ্কারি, বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তার বাসায় লক্ষ লক্ষ টাকা প্রাপ্তি, পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশনারকে ঘুষ প্রদানসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ জনগনের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং সরকার এ ব্যাপারে কোন দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পেরেছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করে না।
৬. সামাজিক অস্থিরতা: এই সময় সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে। প্রকাশ্যে রিফাত হত্যাকাণ্ড, নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ধর্ষনসহ বিভিন্ন ঘটনার সামাজিক উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সমস্ত সামাজিক অস্থিরতা মোকাবিলায় সরকার যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেনি বলেই সাধারণ মানুষ মনে করেন।
৭. গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি: সরকার তৃতীয় মেয়াদের এসে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিটাকে সাধারণ মানুষ যৌক্তিক বলে মনে করছে না।
এই সমস্ত সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রমশই উদ্বেগ উৎকন্ঠা এবং অসন্তোষ বাড়ছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।