নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব সহজেই মানুষকে বন্ধু বানাতে পারেন। বাবার কাছ থেকে পাওয়া অন্যতম গুন বলা যায়। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বেবী ওয়াদুদের গল্প থেকেই শুরু করা যাক। বেবী ওয়াদুদ প্রয়াত হয়েছেন। গল্পটি তিনিই জানিয়েছিলেন গণমাধ্যমে। তার সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার গল্প বললেন এভাবে, শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বারান্দায়। তারপর পরিচয় হয়। হাসিনা আমাকে জিজ্ঞেস করলো, কোথা থেকে এসেছ তুমি? উত্তর দিলাম, রাওয়ালপিন্ডি থেকে। ওখানেই স্কুল কলেজে পড়েছি। আমাকে ভালো করে দেখে আবার জিজ্ঞেস করলো, কি নাম তোমার? উত্তর দিলাম, বেবী। সে সঙ্গে সঙ্গে আমার হাত ধরে বলল, ও তোমাকে চিনেছি। তুমি লেখো। কচিকাঁচার আসরে তোমার লেখা পড়েছি। চিত্রালীতে টুনটুনি নামে লেখো, তাই না। আমি হেসে মাথা নেড়ে হ্যাঁ, জানালাম। সে ঠিকই আমাকে চিনতে পেরেছে। বেশ খুশী ছড়িয়ে পড়েছে তার চোখে মুখে। প্রথম পরিচয়ে অনেক কথা হলো। পরদিন সকালে সে এসে প্রথমেই আমাকে বললো, জানো তোমার বাবা আমার বাবাকে জেলে দিয়েছিল।
বললাম, তাই! আমি তো ঠিক জানিনা। হাসিনা বলল, আমি কাল বাসায় গিয়ে বললাম তো যে এক জজের মেয়ে আমাদের সঙ্গে পড়ে। তো নাম শুনে সবাই বলল, ও তাই নাকি। উনি তো তোমার বাবাকে জেল দিয়েছিলেন। বলেই ও খুব হাসলো এবং আমার গলা ধরে বললো, আর দেখো কী আশ্চর্য! আমরা এখন বন্ধু। ঐসময় আমরা বন্ধুরা মিলে তাদের বাসায় যেতাম। আড্ডাও দিতাম। সবার জন্য ছিল হাসিনার সমান দরদ এবং ভালোবাসা।’
তিনি আরো বলেন,‘১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হই। তখন থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব। সে করতো ছাত্রলীগ এবং আমি ছাত্র-ইউনিয়ন। হাসিনার সঙ্গে সবার বন্ধুত্ব। সে ঢাকার আজিমপুর গালর্স স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও বখশীবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি। সুতরাং তার বান্ধবীর সংখ্যা প্রচুর। আমি তো একেবারে নতুন। কাউকে চিনতাম না। কিন্তু হাসিনার সঙ্গে থাকায় আমারও বান্ধবীর সংখ্যা বেড়ে গেল। হাসিনার ছিল একটা আকর্ষণীয় ক্ষমতা, সবার সঙ্গে খুব সহজেই মিশতে পারতো। একেবারে সহজ-সরল আন্তরিকতায় ভরা মন। সবার মন জয় করার একটা মুগ্ধময় ক্ষমতা ছিল তার। তার সঙ্গে আমার মনের মিল ছিল যথেষ্ট। বিশেষ করে বই পড়া, গান শোনা, আড্ডা, সভায় মিছিলে যাওয়া এবং ছাত্র রাজনীতির কাজকর্ম করা। যদিও দু’জনে দুই সংগঠনে তারপরও আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ট ছিল।’
এইতো সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বান্ধবী প্রফেসর নাজমা শামস। দেখা হতেই ছাত্রজীবনের মধুর স্মৃতিতে হারিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বান্ধবী প্রফেসর নাজমা শামস। তারা দু’জন ভিন্ন মতাদর্শের অনুসারী ছাত্র নেতা ছিলেন। কলেজ জীবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ থেকে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্র সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) এবং প্রফেসর নাজমা শামস ছাত্র ইউনিয়ন থেকে জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারপরও তাদের বন্ধুত্ব এতটুকু কমেনি।
শেখ হাসিনা এমনি। ভিন্ন মতের বন্ধুও তার কম নেই। মানুষকে তিনি বিশ্বাস করেন, ভালোবাসেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।