নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৪ এএম, ২০ অগাস্ট, ২০১৯
কোন রকম রাখঢাক না করেই সোজা-সাপ্টা উত্তর দিলেন বিদিশা সিদ্দিক। বললেন, রংপুরবাসী যদি মনে করে আমি প্রার্থী হই তাহলেই আমি আসন্ন উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে রাজি। অন্যথায় নয়। বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে সরাসরি এমন প্রশ্নই করা হয়েছিলো সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিককে। বিদিশা সিদ্দিক বর্তমানে ভারতের আজমীর শরীফে হযরত খাজা মাঈনুদ্দীন চিশতী (রা:) এর মাজার জিয়ারতে সেখানে অবস্থান করছেন। বললেন, আগামী ২৪ আগস্ট দেশে ফিরে মরহুম এইচএম এরশাদের মৃত্যুর চল্লিশ দিন পালনে ধমীয় অনুষ্ঠান করবেন। বললেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ এরিকের বাবা। পুত্রের কারণেই বাবা এরশাদের আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে হয়। প্রিয় পুত্র এরিক এরশাদকে কাছে না পাবার বেদনার কথাও তুলে ধরেন তিনি। বললেন, মা হয়ে এক বুক কষ্ট ও হাহাকার নিয়ে খাজাবাবার দরবারে পড়ে আছি। আমার বুকের ধনকে কবে বুকে ফিরো পাবো সে প্রতিক্ষায় রাত-দিন প্রহর গুনছি। বিদিশার মনে প্রবল ইচ্ছা, এবার আজমীর থেকে ফিরে সে পুত্র এরিকের সান্নিধ্য পাবেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের মৃত্যুতে রংপুর-সদর আসনে উপ-নির্বাচনের ঢামাঢোল বইছে। এরশাদ পরিবার থেকে কে হচ্ছেন এই আসনে প্রার্থীূ। জাতীয় পার্টি থেকে অনেকেই প্রার্থী হবার আগ্রহ প্রকাশ করলেও দল চাইছে এরশাদের স্মৃতি বিজড়িত এই আসনে এরশাদ পরিবারের কেউ প্রার্থী হোক। সেক্ষেত্রে সাবেক ফাষ্টলেডী এবং জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ ময়মনসিংহের একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়া এরশাদের অনুজ বর্তমানে জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও লালমনিরহাট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তাছাড়া এরশাদের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য আসিফ শাহরিয়ার বিভিন্ন কারণে বির্তকিত। নানাদিক বিবেচনায় জাপার একটি অংশ চাইছেন এরশাদ-রওশন দম্পতির পুত্র শাদ এরশাদকে প্রার্থী করতে। যদিও এব্যাপারে রংপুরে জাপার একটি অংশের প্রবল বিরোধিতা করছে। এসব বিবেচনায় রংপুর সদর আসনে কে হবেন এরশাদের যোগ্য উত্তরসুরী?
এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক বলেন, রংপুরবাসীর সাথে আমি মায়ার বাঁধনে আটকে আছি। তাছাড়া এরশাদের ভালবাসার প্রতিদান রংপুরবাসী দিয়েছেন। রংপুরে এরশাদকে সমাহিত করে প্রমান করেছেন তাদের সে প্রতিদান। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটা বড় বিষয় নয়। রংপুরবাসীকে আমি মনে-প্রাণে ভালবাসি। আর এ ভালবাসাটা স্বার্থ কিংবা সংঘাতের নয়, এককথায় নিখাঁদ ভালবাসা। হয়তোবা আমার ছেলে এরিক এরশাদের স্বপ্ন পুরন একদিন এই রংপুরবাসীই করবে। এমন বিশ্বাস আমার সব সময়ই আছে।
বাংলা ইনসাইডার/ডব্লিউএম
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।