নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ২৪ অগাস্ট, ২০১৯
সামনে কাউন্সিল তাই ছাত্রদলের অভ্যন্তরে সাঁজ-সাঁজ রব। কাউন্সিলরদের কাছে প্রার্থীদের সরব পদচারনা। কেন্দ্রীয় নেতারা ভোট প্রার্থনায় যাচ্ছেন তৃনমূল নেতাদের কাছে। আর এসব প্রচার-প্রচারনা নিয়ে বেজায় খুশী বিএনপির হাইকমান্ড। বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, বিএনপির ভ্যানগার্ড জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আগের ভূমিকায় ফিরে যাবে। কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনটি নতুন গতি পাবে। নেতৃত্বে আসবে পরিবর্তন। রাজপথের আন্দোলনে শহীদ জিয়ার ছাত্রদল অনন্য ভূমিকা রাখবে।
জানা গেছে, দীর্ঘ ২৭ বছর পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হবে। এতে বিএনপির এই সহযোগী সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব কমছে। কাউন্সিল উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা যাচ্ছেন তৃণমূল নেতাদের কাছে। একই সঙ্গে তারা ফোন, এসএমএস বা প্রতিনিধি পাঠিয়ে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন।গত কয়েক বছর ধরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতাদের প্রায় যোগাযোগ ছিল না বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা। অ
বিএনপি’র ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৭৬ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়েছেন ২৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৯ জন। গত ২১ আগস্ট এসব প্রার্থীরা বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জানা গেছে, সারা দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে পাঁচজন করে মোট ৫৮৫ জন ভোটার পছন্দের নেতাকে ভোট দেবেন। এ কারণে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা ভোট চাইতে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতাদের কাছে।
গত ২৭ বছর ধরে ছাত্রদলের কমিটি হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সরাসরি সিলেকশনের মাধ্যমে। এর ফলে গড়ে উঠে সিন্ডিকেট। যার প্রভাব বর্তমান কাউন্সিলেও পড়ছে। বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেওয়ায় আন্দোলন করেছে ছাত্রদলের একাংশ, ফলে প্রথম দফায় ঘোষিত কাউন্সিলের তারিখ পেছাতে বাধ্য হয় বিএনপি।
বিএনপি সুত্র জানায়, আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে গঠিত বাছাই কমিটি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ সেপ্টেম্বর। এরপর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারণা চালানো যাবে। কিন্তু এর আগেই সবকিছু ছাঁপিয়ে শুরু হয়েছে প্রচারণা ও চেষ্টা-তদবির। ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা বলেন, সংগঠনটির এক সময়ের েভারপ্রাপ্ত সভাপতি বর্তমানে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল। তার মতে, ছাত্রদলই একমাত্র বিএনপির প্রাণশক্তি। দীর্ঘদিন কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত না হবার কারণে সংগঠনের ভেতরে নেতৃত্ব বিকশিত হয়নি। যার কারণে ছাত্রদলের ভেতরে ক্ষয় শুরু হয়েছিল কিন্তু এসব বাঁধা কাটিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে পুনরায় আবারো জেগে উঠবে এ সংগঠন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।