নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আজ র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। খালেদের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনো চালানো, চাঁদাবাজি, অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করাসহ নানা অভিযোগ ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা ইনসাইডারেও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কে এই খালেদ? তার উত্থানই বা কি? তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো কতটা সত্য আর কতটা মিথ্যে সে বিতর্ক তো রয়েছেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, দীর্ঘদিন ধরে যে এই অভিযোগগুলো উঠেছে তার বিরুদ্ধে এতদিন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন! আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাকের ডগায় যদি খালেদ ক্যাসিনো চালায় তাহলে এতদিন তাকে গেপ্তার করা হলো না কেন বা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন?
তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে, তা আগে কেন তদন্ত করা হলো না? আগে কেন এইগুলোকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি? যুবলীগের বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, খালেদ দীর্ঘ ২০ বছর ধরে যুবলীগের সক্রিয় সদস্য। শেখ ফজলুল করিম সেলিম যখন যুবলীগের চেয়ারম্যান তখনও তিনি যুবলীগ দক্ষিণের কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক যখন যুবলীগের চেয়ারম্যান হন, তখন তিনি মহানগর দক্ষিণের নেতা হন। বিএনপি বিরোধী আন্দোলনে খালেদ ছিলেন রাস্তার লড়াকু সৈনিক। সে সময় ২৮ অক্টোবরে বিএনপি জামাতের সঙ্গে যে মাঠ দখলের লড়াই হয়েছে আওয়ামী লীগের। সে লড়াইয়ে খালেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বিএনপি-জামাত জোটের দ্বারা পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন খালেদ। শুধু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালে যখন বিএনপি- জামাতের তাণ্ডব শুরু হয়েছিল তখনও খালেদ অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই জন্য আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও তার ভূমিকার প্রশংসা করেছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হেফাজতের আন্দোলনের সময় যারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়কে পাহাড়া দেওয়ার জন্য দায়িত্বে ছিল তাদের মধ্যে খালেদ ছিল অন্যতম। তাহলে কি রাজনীতিতে এটাই বাস্তবতা, যখন তার প্রয়োজন তখন ক্যাডারদের ব্যবহার করা হবে আর যখন তার প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে তখন তাকে সন্ত্রাসী বানানো হবে? খালেদ কি রাজনীতিবিদ নাকি ক্যাডার? আওয়ামী যুবলীগে সে কি ক্যাডার হিসেবে ছিল? যখন তাকে প্রয়োজন হয়েছিল তখন তাকে দলের পদও দেওয়া হয়েছিল। যখন তার প্রয়োজন শেষ হয়ে গেছে তখন তাকে সন্ত্রাসী বানানো হচ্ছে? খালেদ নায়ক নাকি খলনায়ক তা বিবেচনা করবে দেশের মানুষ এবং ইতিহাস।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।