নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযানের সিদ্ধান্ত জনগনের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলেছে। জনগনের মধ্যে স্বস্তি এসেছে এবং জনগনের মধ্যে আশাবাদ জাগ্রত হয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করছে, শেখ হাসিনা যে জনগনের জন্য কাজ করেন। শেখ হাসিনা যে জনবান্ধব তা তিনি আরেকবার প্রমাণ করলেন। শেখ হাসিনা যে সবার আগে দেশ এবং জনগনের কথা চিন্তা করেন আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে সেটা স্পষ্ট হলো। সাধারণ মানুষ এটাও মনে করছে যে, ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া, যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা, ক্যাসিনো বন্ধ করা শেখ হাসিনাার এই সময়ের অন্যতম কঠিন সিদ্ধান্ত। আসুন দেখে নেওয়া যাক শেখ হাসিনার সেরা ১০টি সাহসী সিদ্ধান্ত:
১. স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ১৯৮১ সালে যখন জিয়াউর রহমানের স্বৈরশাসন চলছে, দেশে আসলেই তার প্রাণ নাশের আশঙ্কা রয়েছে। তখন নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। অবশ্যই তার জীবনের সেরা দশটি সিদ্ধান্তের অন্যতম তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।
২. নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের রুপরেখা: ৯১ থেকে ৯৫ সাল পর্যন্ত বিএনপির ভোট কারচুপি এবং ভোটের অধিকার হরনের প্রতিবাদে শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের রুপরেখা। এই রুপরেখায় একজন অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে সরকার প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রাজনীতির বাইরে একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে সরকার প্রধান করা ছিল শেখ হাসিনার আরেকটি সাহসী সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
৩. বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার সংশ্লিষ্টতা: শেখ হাসিনাই প্রথম নেত্রী যিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রথম উথ্থাপন করেছিলেন। সেই সময় আওয়ামী লীগের মধ্য থেকেও এর প্রতিবাদ উঠেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এটা প্রমাণিত হয়েছিল, শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্ত ছিল সাহসী সিদ্ধান্ত। বিএনপি যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দল সেটা প্রমাণ করার জন্য এই সিদ্ধান্তের কোন বিকল্প ছিল না।
৪. প্রচলিত আইনে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার: ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১বছর পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে শেখ হাসিনা ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন না করে তিনি প্রচলিত আইনে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বেছে নেন। এই প্রক্রিয়া ছিল দীর্ঘ। কিন্তু তারপরও দেশে আইনের শাসন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে প্রচলিত আইনের দীর্ঘ পথ বেছে নিয়েছিলেন। এটা ছিল তাঁর আরেকটি সাহসী সিদ্ধান্ত।
৫. ওয়ান ইলেভেনের বিরুদ্ধে প্রথম অবস্থান গ্রহণ করা: যখন ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সেনা সমর্থিত ওয়ান ইলেভেন আসে, নতুন নির্বাচনের পরিবর্তে তারা বিভিন্ন সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করতে শুরু করে। শেখ হাসিনাই প্রথম রাজনীতিবিদ যিনি তখন প্রতিবাদ করেছিলেন এবং তিনি অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং তা না হলে ওয়ান ইলেভেন সরকার জগদ্দল পাথরের মত চেপে থাকত এবং আরেকবার জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করা হত।
৬. ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে চুক্তি করেছিলেন সে চুক্তির বাস্তবায়ন করতে পারেননি কোন সরকারই। ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিরোধগুলোর মিটানোর উদ্যোগ নেন। এরমধ্যে ছিটমহল বিনিময় ছিল অন্যতম। ছিটমহল বিনিময় নিয়ে অনেকরকম ঝুকি ছিল এবং বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আশঙ্কা ছিল। কিন্তু ছিটমহল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে তিনি দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। এটি শেখ হাসিনার অন্যতম একটি সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল।
৭. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার: স্বাধীনতার চার দশক পরে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলংকমুক্ত করছেন। আর এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে এসেছে নানা চাপ। কিন্তু তিনি পিছু হাঁটেননি। ক্ষমতাবান বলে তাকে ছাড় দেননি। তার সাহসীকতার জন্যই বাংলার মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখতে পেরেছে।
৮. ২০১৪’র নির্বাচন: ২০১৩তে বিএনপি যখন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় এবং এরশাদও নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয় তারপরও সাংগঠনিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচন অব্যাহত রাখা ছিল শেখ হাসিনার অন্যতম সেরা একটি সাহসী সিদ্ধান্ত। এই নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি সন্ত্রাস, হরতাল, অবরোধসহ নাশকতামূলক সমস্ত তৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।
৯. রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দান: ২০১৭ সালে তিনি যখন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন সেটা ছিল তাঁর একটি যুগান্তকারী সাহসী সিদ্ধান্ত। শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে একটি মানবিক সিদ্ধান্ত হিসেবে আজও স্বীকৃত। কারণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহাসড়কে যখন বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে, যখন বাংলাদেশ তাঁর অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই এববং স্থায়ী করার সংগ্রাম করছে তখন ১১লক্ষ লোকের চাপ নেওয়ার সাহস কজন নেতার থাকে? কজন রাষ্ট্রনায়কের থাকে? সে প্রশ্ন বিশ্বমহলে উত্থাপিত হয়েছিল।
১০. আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান: টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের ভেতরে যেন সুবিধাবাদীরা গাটছাড়া না বাঁধে, সুবিধাবাদীদের স্বেচ্ছাচারিতায় যেন উন্নয়নের ফসল নষ্ট না হয় সেজন্য তিনি দলের উপর দেশকে স্থান দিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। সারদেশের মানুষ এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এটা শেখ হাসিনার আরেকটি সাহসী সিদ্ধান্ত।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।