নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কৃষকলীগের পর এবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দুই কমিটির বিরুদ্ধেও শুদ্ধি অভিযান শুরু হচ্ছে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কৃষকলীগের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে সেই একই রকম অভিযোগ পাওয়া গেছে ঢাকা মহানগরীর দুই কমিটির বিরুদ্ধেও। মহানগরীর একাধিক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভূমিদখল, কমিশন বাণিজ্যসহ নানারকম অভিযোগ উঠে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরের আগেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে তথ্য প্রমাণাদিসহ প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছে ঢাকা মহানগরীর শুদ্ধি অভিযান।
ছাত্রলীগ, যুবলীগের মতো মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যাপারেও আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। মহানগরের দুই কমিটি কার্যকর নয় এবং এই কমিটিরগুলোর একাধিক নেতা দলীয় কর্মকাণ্ডের বদলে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত, এরকম অভিযোগ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রকাশ্যেই করেছেন। কিন্তু তারপরও মহানগরের নেতৃবৃন্দ নিজেদের শুধরানোর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
সর্বশেষ বিদেশে যাওয়ার আগে গত শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একাধিক শীর্ষ নেতাকে বলেছেন, যারাই দলের জন্য ক্ষতিকারক হবে, যারাই দলের ইমেজ নষ্ট করবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, আড়াই বছরে মহানগর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই ফুলেফেঁপে উঠেছেন। যাদের চালচুলো ছিল না, তারাও অনেক বিত্তশালী হয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, মহানগর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যেরও অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি অর্থের বিনিময়ে করা হয়েছে, এমন তথ্য-প্রমাণও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসেছে। তাছাড়া দলীয় কোন্দল সৃষ্টি, গ্রুপিং এবং দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে।
সূত্রগুলো বলছে, এবারের শুদ্ধি অভিযানে প্রথমে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজস্ব একটি টিম সমস্ত অভিযোগের ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই করে এবং অভিযোগের সত্যাসত্য সম্পর্কে নিশ্চিত হচ্ছে। তারা যখন অভিযোগগুলো সত্য বলে সুপারিশ করে তারপরই প্রধানমন্ত্রী সবুজ সংকেত দেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরেই ঢাকা মহানগরীর দুই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু হবে। এই অভিযানে শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতার বিরুদ্ধেও চাঞ্চল্যকর সব তথ্য প্রকাশ হতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।