নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০১৯
সাম্প্রতিক সময় আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযান এবং সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ফ্রিডম পার্টির নাম সামনে চলে এসেছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সমস্ত অস্থিরতার পেছনে ফ্রিডম পার্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
উল্লেখ্য যে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে একটি খুনীদের দল। এই আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক-রশীদের নেতৃত্বেই ফ্রিডম পার্টি গঠিত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান এই দল গঠনের জন্য উৎসাহিত করেছিল। পরবর্তীতে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এই ফ্রিডম পার্টিকে তার রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত করেছিলেন। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টিকে কিছু আসন দিয়ে জাতীয় সংসদকে কলংকিত করা হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেও ফ্রিডম পার্টিকে পৃষ্টপোষকতা দিতে থাকেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ফ্রিডম পার্টি বিলীন প্রায় হয়ে যায়। এই সময় ফ্রিডম পার্টির মূল নেতা খুনী ফারুক রহমান আটক হন। অন্যান্য নেতাদেরকেও বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় ফ্রিডম পার্টির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আবার ফ্রিডম পার্টিকে পনর্গঠনের জন্য মদদ দেয়। ফ্রিডম পার্টি নতুন করে পুনর্গঠিত হয়। এই সময় ফ্রিডম পার্টির বিভিন্ন নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করিয়ে আওয়ামী লীগকে বিপথে পরিচালনা করার এক মিশন নেওয়া হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ফ্রিডম পার্টি কার্যত বিলুপ্ত হয়ে যায়। তাদের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে যায়। যদিও ওয়ান ইলেভেনের সময় সরকার আব্দুর রশীদের মেয়ে মেনহাজ রশীদকে দিয়ে ফ্রিডম পার্টি পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছিলেন। যেন তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। এখনো ফ্রিডম পার্টি অস্ট্রেলিয়া থেকে পরিচালিত হয়। সেখানে খুনী ফারুকের পুত্র সৈয়দ তারিক রেহমান ফ্রিডম পার্টির মূল নেতা হিসাবে দল পরিচালনা করেন।
বাহ্যত ফ্রিডম পার্টি বিলুপ্তপ্রায় এবং বিলীনপ্রায় একটি সংগঠন হলেও ২০০১ সাল থেকেই ফ্রিডম পার্টি একটি আলাদা কৌশল মেনে চলে বলে তথ্য প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তাতে দেখা যায় যে, ফ্রিডম পার্টি বুঝতে পেরেছিল যে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ফ্রিডম পার্টির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। সেজন্য আওয়ামী লীগকে কলঙ্কিত করা, আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করা এবং আওয়ামী লীগ যেন ক্ষমতায় গিয়ে হত্যা, সন্ত্রাস এবং বিভিন্ন অপকর্মে অভিযুক্ত হয় সেজন্য পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে ফ্রিডম পার্টির বেশকিছু নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করানো হয়। ফ্রিডম পার্টির একাধিক কাগজপত্রে দেখা যায়, ঢাকা শহরেই ১০০জন ফ্রিডম পার্টির সন্ত্রাসী এবং অপরাধীকে কৌশলে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করানো হয়।
আজকে যখন আওয়ামী লীগ শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে তখন দেখা যাচ্ছে যে, যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের অনেকের সঙ্গেই ফ্রিডম পার্টির সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে, যারা সন্ত্রাস, চাদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে তাদের যোগসূত্র পাওয়া যায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে যে, ঠিক কতজন ফ্রিডম পার্টির আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেছে তা এখন নিশ্চিত নয়। তবে এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের দু একজন ছাড়া সবারই ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মনে করছে। বিশেষ করে যুবলীগের একটা বিপুল অংশের নেতাকর্মী ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই শনাক্ত করেছে। তাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ, আরমান সহ আরও অন্তত ২০ থেকে ২১জন মহানগর পর্যায়ের নেতা রয়েছেন যারা ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ছাত্রলীগে যেমন ছাত্র শিবিরের অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছিল, ঘটিয়ে ছাত্রলীগকে কলুষিত করা হয়েছে যুবলীগেও সেরকম ফ্রিডম পার্টির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে যুবলীগকে বিতর্কিত করা হয়েছে। তবে শুধু যুবলীগ নয়, মূলধারার আওয়ামী লীগেও ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশকিছু ব্যক্তি রয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এই বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে এবং ফ্রিডম পার্টি থেকে যারা আওয়ামী লীগে এসেছে তাঁদেরকে চিহ্নিত করার কাজ ইতিমধ্যেই চূড়ান্তপ্রায় বলেও জানা গেছে। যেই সংগঠনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মূল সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত, যেই সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে কীভাবে প্রবেশ করে সে নিয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহলেও এক ধরণের তোলপাড় চলছে।
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন