নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ বিতর্কিতদের ৩৫ জনের একটি নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য গণভবনে জমা দেয়া হয়েছে। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ এই তালিকা প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর কাছে জমা দেন। ৩৫ জনের তালিকায় রয়েছেন প্রেসিডিয়ামের ২৮ জন, যুগ্ম সম্পাদক ৫জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ৯জন। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেন যে, আমি কমিটির নাম জমা দিয়েছি। যারা বিতর্কিত বা প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতে আমন্ত্রণ জানাবেন না তাঁদেরকে গনভবন থেকেই বাদ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বুধবার হারুনুর রশীদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে প্রধানমন্ত্রী রোববার এই সাক্ষাৎকারের সময় দেন।
যে তালিকা প্রদান করা হয়েছে সেই তালিকায় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নাম রয়েছে। এছাড়াও যুবলীগের বিতর্কিত প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নামও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত আছে ৪ বছর ধরে সাংগঠনিক কাজে দায়িত্ব পালন না করা দলের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশীদের নাম। এখানে আছে সাভারের বিতর্কিত যুবলীগ নেতা সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম জাহিদের নামও।
জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন যেহেতু কংগ্রেস নিয়েই আলোচনা হবে সেজন্য নামের তালিকা বড় করতে এবং যুবলীগের প্রেসিডিয়ামের নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে এ তালিকা চূড়ান্ত করেছেন। তবে গণভবন থেকে নির্দেশনা ছিল যুবলীগ চেয়ারম্যানসহ বিতর্কিত কাউকে অন্তর্ভুক্ত না করা। তারপরও যুবলীগের চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে যে, ৩৫ জনের তালিকা দেয়া হলেও যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী যে এই বৈঠকে থাকছেন না তা মোটামুটি নিশ্চিত। তিনি ছাড়াও এই বৈঠকে থাকছেন না নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনও।
যুগ্ম সম্পাদকদের মধ্যে মামুনর রশীদও এই বৈঠকে থাকবেন না বলেই জানা গেছে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে বির্তর্কিত এস এম জাহিদ এই বৈঠকে থাকবেন না। কারণ জাহিদের উপর এর আগেই গণভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন যে, আমরা কমিটি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি উপস্থাপন করেছি এবং কমিটিতে যারা যারা আছেন তাদের নামই উল্লেখ করেছি।
তবে তিনি স্বীকার করেন যে, যুব লীগের চেয়ারম্যান যেন বৈঠকে না থাকে সে ব্যাপারে গণভবন থেকে তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা সত্বেও তিনি কেনো যুবলীগের চেয়ারম্যানের নাম দিলেন এই প্রশ্ন করা হলে হারুনুর রশীদ বলেন, একটা ধারা অনুসরণ করেই আমরা নামগুলো দিয়েছি। বিচ্ছিন্নভাবে কারও নাম দিলে সংগঠনে নানা রকমের ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতো।
জানা গেছে যে, আগামীকাল বিকাল ৫ টায় এই বৈঠকে মূলত পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রথমত; যুব লীগের যে কংগ্রেস সেই কংগ্রেস কার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয়ত; যুব লীগের কংগ্রেসের আগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগরীর কমিটিগুলো বাতিল করা হবে কিনা।
তৃতীয়ত; যুব লীগের কংগ্রেসের আগে যে সমস্থ স্থানীয় পর্যায়ের কমিটি গুলো হয়েছে সেগুলো থাকবে কি থাকবে না।
চতুর্থত; যুব লীগের যারা বিতর্কিত রয়েছেন তাদের ব্যপারে কংগ্রেসের আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি হবে না।
আর পঞ্চমত যুবলীগের নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা থাকবে কিনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে যে, আগামীকাল অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত ভাষণ দেবেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী সকলের বক্তব্য শুনবেন। এরপর দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তবের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সমাপনী বক্তব্য রাখবেন এবং এখানেই তিনি যুবলীগের কংগ্রেস সম্পর্কে তার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জানাবেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন