নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯
২২ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের আগে আজ ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে টেলি তারেক জিয়ার আলাপের খবর পাওয়া গেছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, লন্ডন থেকে তারেক জিয়া ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে প্রায় ১৭ মিনিট টেলিফোনে আলাপ করেন। এই টেলি আলাপে ২২ অক্টোবরের জনসভার এজেন্ডাসহ ঐক্যফ্রন্টকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং এর পরিধি বৃদ্ধিসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তারেক পূর্ণ আস্থা জানিয়েছেন। তারেক জিয়া বলেছেন, আপনি মুরব্বি। আপনার নেতৃত্বের পেছনেই আমরা সব সময় আছি।
তারেক জিয়া এটাও বলেছেন যে, বিএনপি সবসময় আপনার সঙ্গেই থাকবে। আপনি যেভাবে কর্মসূচি দিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে চান সেভাবে থাকবে।
তবে ৩ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতৈক্য হয়নি বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রথমত, তারেকের অনুরোধ ছিল জামাতের বিষয়টি যেন ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে উত্থাপিত না হয়। ঐক্যফ্রন্টের অনেক নেতাই বিএনপিকে জামাত ছেড়ে দেওয়া, জমাতের সঙ্গে জোট থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলছে। এটাতে ঐক্যফ্রন্টই ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে তারেক জিয়া মনে করেন। তিনি বলেছেন, জামাত যেহেতু ঐক্যফ্রন্টের সদস্য নয়, কাজেই ঐক্যফ্রন্টে এই বিষয়টি না তোলাই যৌক্তিক। কিন্তু ড. কামাল হোসেন এই প্রশ্নে তারেকের সঙ্গে একমত হননি। তারেক জিয়াকে দ্রুত জামাত ত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন এতে আপনাদেরই মঙ্গল হবে। জামাত থাকলে বিএনপিকে নিয়ে যৌথ ঐক্য সম্ভব হবেনা বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দ্বিতীয় যে বিষয় নিয়ে তাদের মতৈক্য হয়নি তাহলো, ঐক্যফ্রন্টের পরিধি বাড়ানো। তারেক জিয়া সবাইকে নিয়ে সরকার বিরোধী ঐক্য করার মত দিয়েছেন। প্রকারন্তরে তারেক জিয়া জামাতসহ মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক দলগুলোকেও এরমধ্যে যুক্ত করার প্রস্তাব করেছেন।
কিন্তু ড. কামাল হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলকে নিয়েই বৃহত্তর ঐক্য করবেন। জামাত বা অন্যকোন মৌলবাদী সংগঠনকে নিয়ে ঐক্য করতে তিনি রাজী নন। ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আদর্শহীন ঐক্যের পক্ষে তিনি নন এবং আদর্শহীন ঐক্য করে কোন লাভ হবেনা বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
তৃতীয়ত হলো, বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নিয়ে ড. কামাল হোসেনকে প্রকাশ্যে মুখ খোলার অনুরোধ করেছেন তারেক জিয়া। তিনি বলেছেন যে, বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি গণফোরাম থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠলে ভালো হয়। জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, গণফোরামের অনেক নেতাই বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি বলছে এঁটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। যে যে মনে করবেন তিনি এটি দিতে পারবেন। যিনি মনে করবেন না তাঁর এটা করার দরকার নেই। কিন্তু এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি তারেক জিয়া।
তিনি মনে করেন, ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম অগ্রাধিকার ইস্যুগুলোর মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুটি থাকা উচিৎ। তবে দুইপক্ষ একমত না হলেও তারা বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের কোন বিকল্প নেই। ঐক্যফ্রন্টকে ঘিরেই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ড. কামাল হোসেন তারেক জিয়াকে বলেছেন যে, দলের কাউকে দায়িত্ব দিয়ে তিনি যেহেতু বিদেশে আছেন সেই অবস্থায় দলের অন্যকাউকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিতে। অবশ্য এ ব্যাপারে তারেক জিয়া কোন মন্তব্য করেননি।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।