নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৯
যুবলীগের নবম কংগ্রেস যে ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে হবে না সেটা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এটা নিয়ে গুঞ্জন ছিল কার নেতৃত্বে যুবলীগের কংগ্রেস হবে। এই নিয়ে নানারকম জল্পনা কল্পনা ছিল। যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুবলীগ নেতৃবৃন্দের বৈঠক চলছিল তখন এই নিয়ে নানারকম গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছিল। কিন্তু এইসমস্ত গুজব গুঞ্জনের কোনকিছুতেই ছিলেন না চয়ন ইসলাম। এমনকি চয়ন ইসলামের নাম যখন ঘোষনা করা হয় তখন সেখানে উপস্থিত যুবলীগের প্রায় ৩৫জন সদস্যই চমকে ওঠেন এবং তাদের জন্য এটা ছিল অপ্রত্যাশিত।
যুবলীগের চেয়ারম্যান সরে যাচ্ছেন। সরে যাওয়ার পর কার নেতৃত্বে হবে যুবলীগের কংগ্রেস এটা নিয়ে যুবলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে নানারকম প্রতিযোগিতা ছিল। এই প্রতিযোগিতায় সবার অগোচরেই শেখ ফজলে নূর তাপসের নাম উঠে এসেছিল। শেখ ফজলে নূর তাপস হলেন শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ছেলে। যখন এই বৈঠক চলছিল তখন তাপসের নাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। আবার যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক শহীদ সেরনিয়াবাতকে আহ্বায়ক করার জন্য যারপনাই লবিং করেছিলেন। কিন্তু তাঁর এই লবিংয়ে কাজ হয়নি। অন্যদিকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ চৌধুরীও। কিন্তু এদের সবাইকে টপকিয়ে চয়ন ইসলাম কীভাবে হলেন সেটাই প্রশ্ন সবার।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, চয়ন ইসলাম ২০০৮ সালের নির্বাচনে এমপি হলেও পরবর্তী নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন না পেলেও তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোন কাজ করেননি। সংস্কৃতিমনস্ক এই লোকটি সবসময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারি ছিলেন এবং কখনও চাওয়া পাওয়ার হিসেব করেননি। এই জন্যই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাকে মূল্যায়ন করেছেন। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা একটি স্পষ্ট দিলেন যারা দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ, যারা দলের দুঃসময়ের সাথী এবং যারা চাওয়া পাওয়ার হিসেব করে না তাঁদেরকে তিনি সবসময় মূল্যায়ন করেন। চয়ন ইসলামকে কগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করার মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা আরেকবার তিনি যে সৎ নেতৃত্বকে সামনে আনতে চান তাঁর জানান দিলেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।