নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০১৯
ক্রিকেটের বর্তমান সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আসছে। গতকাল বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সহ সব ক্রিকেটাররা ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া তারা সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এ সংকট নিরসনের জন্য। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দৃশ্যত পাপন ব্যর্থ হয়েছেন। আজ তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্রিকেটে নতুন ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছেন এবং বলেছেন যে ক্রিকেটকে ধ্বংস করার জন্য একটা ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করতে পারেননি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে ক্রিকেটাররা তার ফোন কেটে দিচ্ছে, তার সঙ্গে কোনো কথা বলছে না, তার সঙ্গে বসছেও না।
একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে জানা গেছে, নাজমুল হাসান পাপনের প্রতি তাদের আস্থা নেই। একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ওপরই তাদের আস্থা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী পরশু আযারবাইজান যাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় সফরে। যাওয়ার আগেই কর্মব্যস্ত সময়ের মধ্যে তিনি ক্রিকেটারদের সময় দিতে পারবেন কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ক্রিকেটাররা।
জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাতৃতুল্য। তার উৎসাহেই ক্রিকেট এগিয়েছে। কাজেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছেই আমাদের বিষয়গুলোর সমাধান চাইবো।
জানা গেছে যে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বার্তাটি পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক ক্রিকেটারের যোগাযোগ হয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ক্রিকেটারদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করলেও এই বিষয়টির সমঝোতা করার জন্য কিনি উদ্যোগ নিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও চলছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া ক্রিকেটের বর্তমান যে সংকট তার সমাধান হবে না।
যদি প্রধানমন্ত্রী সময় দেন, তাহলে আযারবাইজান যাওয়ার আগে ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে। সেই বৈঠকে ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও উপস্থিত থাকতে পারেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্রিকেটের সংকট নিয়ে যে প্রতিবেদন গেছে সেই প্রতিবেদনে দেখা গেছে নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে ক্রিকেটারদের একটা দূরত্ব তৈরী হয়েছে। এই দূরত্ব নিরসন কারাটাই হলো প্রধান কাজ। তবে ক্রিকেটাররা মনে করছেন যে, শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার পর ক্রিকেটের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস পাবেন বা তার সঙ্গে দেখা হলেই এই সংকটের একটা ভালো সমাধান হবে।
সেজন্যই ক্রিকেটাররা এখন তাকিয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।