নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০১৯
ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার বৈঠকের সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আগামী শুক্রবার বৈঠক হতে পারে। বৈঠকের আলোচ্যসূচী কি হবে বা বৈঠকে কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এই নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আজ বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তা নিয়ে বসেছিলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেছেন, বৈঠকে মূলত ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তিনটি বিষয় তুলে ধরা হবে;
১. তারা বিএনপির নেতৃত্ব থেকে আপাতত তারেক জিয়াকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করবেন। কারণ যেহেতু তারেক জিয়া দেশে অবস্থান করছেন না। তারেক জিয়াকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ধরনের আপত্তি আছে। এই বাস্তবতায় ড. কামাল হোমেন প্রস্তাব করবেন বেগম খালেদা জিয়া দলের চেয়ারম্যান থাকুক এবং তারেক জিয়া আপাতত দলের বাইরে থাকুক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এই প্রস্তাব করার জন্য ড. কামাল হোসেনকে অনুরোধ করেছেন। কামাল হোসেন এটা গ্রহণ করেছেন।
২. বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলন করবে। সেই বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট রুপ দেখা যাবে। ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি যেন ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।
জানা গেছে , এই সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনার কাজ এখনো চলছে। যেখানে আইনী লড়াই এবং আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মত বিনিময় করা হবে।
৩. ড. কামাল হোসেন স্পষ্ট করবেন যে, খালেদা জিয়ার মুক্তিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নিয়ে একটি বৃহত্তর আন্দোলন করা যায় যদি বিএনপি সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত হলো, বিএনপি যদি জামাত থেকে আলাদা হয়, জামাত থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার ঘোষণা দেয় তাহলেই একটি বৃহত্তর ঐক্য হবে। তাহলেই সরকারের বিপক্ষে একটি সর্বাত্নক আন্দোলন করা সক্ষম হবে বলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মনে করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করছে যে, খালেদা জিয়ার মতামত এবং খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত জানতে চাইবেন দলের নেতারা। তবে অন্য একটি সূত্র বলেছে যে, হঠাৎ করেই বেগম খালেদার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সাক্ষাতের পেছনে অন্য একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির কট্টরপন্থীরা মনে করছেন, এটাও সরকারের একটি ‘দূরভিসন্ধি’।
কারণ বিএনপির এই নেতাদের মতে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনকে ভাড়া করা হয়েছিল। সরকারের এজেন্ট হিসেবে ড. কামাল হোসেন বিএনপিকে নির্বাচনের মাঠে নামিয়েছিল। ঠিক তেমনি ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে প্যারোল দেওয়ার জন্য ড. কামাল হোসেনকে ভাড়া করা হয়েছে।
এবং এ বৈঠকে গিয়ে ড. কামাল হোসেন হয়তো খালেদা জিয়াকে সরকারের এজেন্ট হিসেবে প্যারোলের যৌক্তিকতা বোঝাবেন এবং প্যারোলটা যে খারাপ নয় সে বিষয়ে নিয়ে আলোকপাত করবেন। বেগম খালেদা জিয়াকে সরকারের দেওয়া প্যারোল প্রস্তাব গ্রহণের জন্য অনুরোধ করবেন।
তবে জাতীয় ঐক্যফ্রান্টের একাধিক নেতা বলেছেন যে, বিএনপির কিছু নেতা আসলে ঐক্যফ্রন্ট চাচ্ছে না, ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য কাজ করছে এদের কারণেই আন্দোলন গড়ে উঠছে না, তারা এ ধরণের বিভ্রান্তি মূলক কথাবার্তা বলছে।
ঐক্যফ্রন্ট মনে করছে জন্য যে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বৃহত্তর ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। কারণ এককভাবে বিএনপির পক্ষে এই আন্দোলন গড়ে তোলার মত সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। এই জন্যই বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারা দেখা করতে চাইছেন। তবে যে তিনদফা প্রস্তাব বেগম খালেদা জিয়াকে দেওয়া হবে সেটি বেগম খালেদা জিয়া মানবেন কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক সন্দেহ আছে। কারণ বেগম খালেদা জিয়া তার পুত্র তারেক জিয়াকে যেমন বাদ দিতে পারবেন না তেমনি বাদ দিতে পারবেন না জামাতকে।
কাজেই বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে শেষ পর্যন্ত ফলাফল কি হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন