নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ০৭ নভেম্বর, ২০১৯
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লে. জে. মাহবুবুর রহমান। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান। ১৯৯৬ নির্বাচনের আগে জেনারেল নাসিমকে যখন বরখাস্ত করা হয় তখন আবদুর রহমান বিশ্বাস লে. জে. মাহবুবুর রহমানকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগদান করেন। তার নেতৃত্বেই ৯৬ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চাকরি থেকে অপসারিত হওয়ার পর জেনারেল মাহবুব বিএনপিতে যোগদান করেন। ২০০১ এর নির্বাচনে তিনি দিনাজপুরের একটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই রাজনীতিবিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই তারেক জিয়ার বিরোধ চলছিল।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা বলেছেন, দুমাস আগে তারেক মাহবুবুর রহমানকে টেলিফোনে কুৎসিত এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এরপর থেকেই তিনি বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জেনারেল মাহবুবুর রহমান পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর তার ঘনিষ্ঠদেরকে বলেছেন যে, ‘আর যাই হোক তারেকের নেতৃত্বে দল করা যায় না। তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি করার চেয়ে কারোর বাসার কাজের লোক হওয়াও ভালো। কারণ তারেক সিনিয়রদেরকে ন্যূনতম সম্মান করতেও শেখেনি। কীভাবে দল চালাতে হয় সেটাও জানে না সে।’
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।