নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯
শহীদ নুর হোসেন ইস্যু নিয়ে এরশাদের জাপায় ডাকসাইটে দুই নেতার লড়াই এখন তুঙ্গে। জাপা মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের মধ্যকার বিবদমান দ্বন্ধ নিয়ে প্রকাশ্যে উভয়ের কর্মী-সমর্থকরা। তবে এনিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের বিরোধ তৈরী হতে পারে জাপায়। আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলেও তার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
জাতীয় পার্টির আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলের আগে এই দুই নেতার প্রকাশ্য এ বিরোধ উস্কে দিতে পারে জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ভীত। শহীদ নুর হোসেনকে নিয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গার অতি উৎসাহী বক্তব্য যেমন পুরোপুরি সমর্থন করছেন না জাপার সাধারণ কর্মীরা আবার সংসদে নূর হোসেনকে হিরো বানিয়ে দেওয়া কাজী ফিরোজ রশীদের বক্তব্যকেও সমর্থন করছেন না। তারা মনে করছেন নূর হোসেনকে হিরো বানিয়ে পক্ষান্তরে এরশাদের ভূমিকাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। জাতীয় ছাত্র সমাজের সম্মেলনে একাধিক ছাত্রনেতা বিষয়টি সামনে তুলে এনেছেন। তারা মনে করছেন মহাসচিবের বিরুদ্ধে এভাবে সমালোচনা করা সঠিক কাজ হয়নি।তাদের মতে, পার্টির মহাসচিবের বিরুদ্ধে মহান জাতীয় সংসদে কাজী ফিরোজ রশীদের এমন মন্তব্য কোনভাবেই শোভনীয় নয়।
তবে,জাপার একাধিক নেতা-কর্মী মনে করছেন কাউন্সিলে কাজী ফিরোজ রশীদ রওশনপন্থী গ্রুপের মহাসচিব প্রার্থী। রাঙ্গাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য কাজী ফিরোজ রশীদ সংসদে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের মতে,আসছে কাউন্সিলে রাঙ্গাকে সরাতে বঙ্গবন্ধু ও বাকশাল নিয়ে দেওয়া বক্তব্যকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন রাঙ্গা বিরোধীরা। তারা মনে করছেন এই টোপ দিয়ে সরকারকে বশ করা যাবে। আর সরকার পক্ষে থাকলে রাঙ্গাকে সরানো সহজ হবে। কাজী ফিরোজ রশীদের দেওয়া সংসদের বক্তব্য এবং জয়ের বক্তব্য সেই নকশার অংশ বলে মনে করছেন রাঙ্গার অনুসারীরা।
এবিষয়ে জাপার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিব্রত। দলের প্রেসিডিয়াম সভায় এবিষয়ে আলোচনা হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।