ইনসাইড পলিটিক্স

‘শেখ হাসিনাই যুবলীগের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করবেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। ২৩ নভেম্বরের সপ্তম কংগ্রেসকে সামনে রেখে শীর্ষ দুই পদ পেতে অনেকেই তৎপর। অনেক অনেক প্রশ্ন এখন এই কংগ্রেসের প্রাক্কালে ঘুরছে। যুবলীগের আসন্ন কংগ্রেসের প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলা ইনসাইডারের।

বাংলা ইনসাইডার: যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের প্রস্তুতি কেমন?

হারুনুর রশিদ: যুবলীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। যুবলীগকে দেশ গঠনের কারখানা বলা যায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাষ্ট্রচিন্তা এবং তার যে রাজনৈতিক দর্শন সেই আলোকে যুবলীগকে দেশ গঠন এবং গঠনমূলক রাজনীতিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যুবলীগ আজকের এই অবস্থানে। সেই সংগঠনের কংগ্রেসে স্বাভাবিকভাবে লক্ষ্য লক্ষ্য যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হতে চাইবেন। তাদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য রয়েছে। এদেশের যুব সমাজ যারা তারা এই সংগঠনটিকে ভালোবাসে। কারণ যুবলীগ লাখো যুবকের স্বপ্নের ঠিকানা। কারণ যুবলীগ যুবদের ধ্যান ধারণা আকাঙ্খাকে ধারণ এবং লালন করে। তার আলোকেই আমাদের নেত্রীর যে রাজনীত তা এগিয়ে নিয়ে যায় যুবলীগ। বর্তমান যুবরাইতো এক সময় এদেশের নেতৃত্ব দেবে। কাজেই তাদের বিষয়টা আমরা যেমন মাথায় রাখি তেমনি নেত্রীও মাথায় রাখেন। সেই আলোকেই আমরা কংগ্রেসে যুবলীগকে সাজাতে চাই। এ কারণে যুব সমাজেরও একটা গভীর উৎসাহ রয়েছে এই কংগ্রেসের ব্যাপারে।

এই কংগ্রেসে প্রাণপ্রিয় নেত্রী তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। এটা কিন্তু একটা মাইলফলক। এই কংগ্রেস দৃষ্টিনন্দন সুশৃংখল এবং খুব তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে সেই লক্ষ্যে যুবলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী। আমাদের সিনিয়র নেতা যারা, প্রেসিডিয়াম, জেল, মহানগরের যারা নেতা আছেন সবার মাঝে একটা চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু সেটা দৃশ্যমান হওয়া বাকি।

এবার যুবলীগের কংগ্রেস হচ্ছে একটা সংকটময় মুহূর্তে। যুবলীগের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে, টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। যুবলীগের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি এখন জেলে। এরকম একটা সংকটময় মুহূর্তে এখন যুবলীগের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত করতে গিয়ে আপনি কি কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি?

না, চ্যালেঞ্জ বলতে যেটি বোঝায় সেটা হলো একটি সফল কংগ্রেস মানেই তো একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু আনুষঙ্গিক যে বিষয়গুলো রয়েছে, যে সংকট বা সাময়িক যে বিষয়গুলি বিশেষ করে ইমেজ সংকটের যে বিষয়গুলো রয়েছে- আমি মনে করি এগুলো সাময়িক। এগুলো ব্যক্তির দায়। যুবলীগ একটি প্রতিষ্ঠান। এটা কোনো প্রতিষ্ঠানের দায় নয়। ব্যক্তির দায় বলতে ব্যক্তি বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়ও বিদায় হবে। আমার যদি কোনো কালিমা থাকে তার জন্য সংগঠন দায়ী নয়। যে নেতৃত্ব আসবে, তার জন্য আলোর দিগন্ত উন্মোচিত হবে এই কংগ্রেস।

আপনার কি মনে হয় না এর জন্য যুবলীগের ইমেজ সংকট হয়েছে? আপনি বললেন লাখো তরুণ যুবলীগ করে, তাদের কাছে যুবলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি?

ইমেজ সংকট যে কালিমার কারণে, সেই কালিমা এবং ইমেজ সংকট যাদের কারণে হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সংগঠন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সরকারের পক্ষেও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাজেই মানুষ কি চায়? মানুষ দেখে যে অপরাধ করলে তার শাস্তি হয় কি না। শাস্তি যেহেতু নিশ্চিত হয়েছে সংগঠন এবং সরকারের পক্ষ থেকে, কাজেই আমরা মনে করি এই কংগ্রেসের যে ঢেউ উঠবে, সবকিছুর মধ্য দিয়ে কংগ্রেস একটা মাইলফলক হিসেবে যখন প্রতিষ্ঠিত হবে, পিছনের যত কালিমা রয়েছে তা ধুয়েমুছে যাবে।

যুবলীগের নেতৃত্ব নিয়ে অনেক রকম আলোচনা হচ্ছে, পুরো দেশবাসীর আগ্রহ যুবলীগের নেতৃত্বে কে আসছেন। আপনি যুবলীগের জেনারেল সেক্রেটারি, আপনি কি মনে করেন, কি রকম নেতৃত্ব আসতে পারে?

যারা সংগঠনটিকে ভালোবাসে, এই সংগঠনে যাদের দীর্ঘদিনের ত্যাগ, শ্রম, ভালোবাসা রয়েছে, সেখান থেকেই নেতৃত্বে আসা প্রয়োজন। তবে সব কথার শেষ কথা, এই সংগঠন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার চিন্তাচেতনাকে লালন করে এবং তার আদর্শে পতাকা বহনকারী সংগঠন। কাজেই এই সংগঠনে যারা নেতৃত্বে আসবে, তাদেরকে অবশ্যই এই বিষয়ে অর্থাৎ যে নেত্রীর সেন্টিমেন্ট বুঝবে, নেত্রীর আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, নেত্রীর আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারবে- এমন নেতৃত্বই এই কংগ্রেসের মাধ্যমে আসা উচিৎ।

এবার এই কংগ্রেসে কতজন আসবেন, কাউন্সিলে কতজন আসবে, এই ব্যাপারে আপনারা কি ভাবছেন/জানেন?

আমাদের তো অনেকেই আসতে চায় সারা বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু আমাদের তো আয়োজনে সীমাবদ্ধতা আছে। সেখানে যে প্যান্ডেলটা করা হয়েছে, সব মিলিযে সেখানে যে আসন সংখ্যা, সেখানে লক্ষ যুবক আসতে চাইলেও আমি তো তাদের সেখানে অ্যাকোমোডেট (স্থান সংকুলান) করতে পারবো না। কাজেই দূর-দূরান্ত থেকে লোকগুলো এসে একটা কষ্টের ভিতরে পড়বে। কাজেই যেই আয়োজন আছে, সেই আয়োজনকে ছাপিয়ে সেখানে আমাদের ২৫-৩০ হাজার যুবক কংগ্রেসে আসতে পারবে।

সারাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব কি রকম হবে?

সেখানে প্রথমে তো উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন, তারপরে যখন কাউন্সিল শেষ হবে, সেখানে সাড়ে ২২শ এর মতো কাউন্সিলর থাকবেন।

কতজন কাউন্সিলর থাকবেন? কীভাবে এটা ঠিক করা হয়েছে?

এটা হচ্ছে প্রতি গ্যালারি ২৫ জন করে কাউন্সিলর। আমাদের যে জেলার ইউনিটগুলো রয়েছে, প্রতি জেলায় ২৫ জন করে কাউন্সিলর, আমাদের যে ইউনিট কোর্ড আছে জেলা, প্রতি জেলায় ২৫ জন করে কাউন্সিলর। এবং এই কাউন্সিলর নির্ধারণে জেলায় যদি নেতৃত্বের মধ্যে কোনো সংকট তৈরি হয় সেটারও পথনির্দেশ করা আছে আমাদের গঠনতন্ত্রে। সেটা হলো ১-২৫ এর মধ্যে যার মান থাকবে তারা কাউন্সিলর হয়ে যাবে। যদি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মতবিরোধও দেখা দেয় কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে তাহলে গঠনতন্ত্র নির্দেশ করে দিয়েছে তোমাদের মতবিরোধ থাকলেও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে যাবো অটোম্যাটিকালি ১-২৫।

আপনার কি মনে হয় এবার যুবলীগের নেতৃত্ব হবে কি ভোটের মাধ্যমে নাকি সর্বসম্মত ভিত্তিতে? প্রত্যেকবারই তো আমরা দেখি এটা একটা আলোচনার মাধ্যমে হয়। এবার কিভাবে হবে। যেহেতু এবার কংগ্রেসটা একটা অন্য রকম তাৎপর্য নিয়ে আসছে?

যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর ৪৭ বছর পেরিয়ে গেছে। এর আগে ছয়টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা সপ্তম কংগ্রেস। কোনো কংগ্রেসেই যুবলীগের কর্মীরা সেখানে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক, এটা যুবলীগের কর্মীদের মানষিকতার মধ্যে নেই। কারণ তারা মনে করে সংগঠনের মালিক আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তার সংগঠন কিভাবে সুচারুভারে পরিচালিত হবে সবার চেয়ে তিনিই ভালো বুঝবেন। এবং যারা উনার কাছে আকাঙ্খা প্রকাশ করে তাদের মধ্যে থেকে তাদের সার্ভিস রেকর্ড, তাদের ভূমিকা, তাদের সাহসিকতা, সংগঠন পরিচালনায় তাদের অভিজ্ঞতা, তাদের দক্ষতা, তাদের বুদ্ধিমত্তা তাদের মেধা সবকিছু বিবেচনায় এনেই নেত্রী সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী এমন ধরণের আকাঙ্খা প্রকাশ করে নেত্রী যতদিন জীবিত আছেন তিনিই নির্ধারণ করবেন যুবলীগের নেতৃত্বে কে আসবেন।

আপনি তো দীর্ঘদিন যুবলীগের সঙ্গে আছেন। নতুন নেতৃত্বের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি?

নতুন নেতৃত্বে যারা আসবে তাদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা রাজনীতিকে যেন সৎভাবে গ্রহণ করা। এটি একটি সততার পেশা। এটা মানুষের কল্যাণে কাজ করে। কাজেই আমি সংগঠনে আসবো কিছু নেওয়ার জন্য নয় কিছু দেওয়ার জন্য এমন চিন্তা থাকতে হবে। আমরা জাতিকে, তরুণ প্রজন্মকে তাদেরকে দেওয়ার মানষিকতা নিয়েই। প্রথম শর্ত হলো দেওয়ার মানষিকতা, ত্যাগী মনোভাব থাকতে হবে, সাহস থাকতে হবে যে মনোভাব প্রেষণ করি তা বাস্তবায়নে কোনো বাধা প্রতিবন্ধকতা যদি সামনে এসে দাঁড়ায় তাহলে সেটা অতিক্রমের একটি সাহস থাকতে হবে। কাজেই নতুন নেতৃত্বের কাছে এটিই প্রত্যাশা করব যে, এই দেশের যুব সমাজের যে চিন্তা চেতনা ধ্যান-ধারণা আকাঙ্খা সেটা ধারণ করে, লালন করে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের, আমাদের আদর্শিক নেতা, আমাদের পথপ্রদর্শক তার যে চিন্তা চেতনা সেটা যেন নতুন নেতৃত্ব ধারণ করে একটা পরিচ্ছন্ন্য সংগঠন, একটা আদর্শ সংগঠন। যেই সংগঠনে শুধু প্রশংসায় থাকবে বা সেই সংগঠনে যেন কোনো অপবাদ পিছু না নেয় সেই ধরণের কর্মসূচি তাদের গ্রহণ করতে হবে। সংগঠনকে সেভাবেই সাজাতে হবে, যেনো কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি সংগঠনে আসতে না পারে। যার জন্য সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এমন ব্যক্তি যেন সংগঠনের কোনো স্তরে যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেটি নতুন নেতৃত্বকে নিশ্চিত করতে হবে।

আপনি কি মনে করেন এই কংগ্রেস সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে, কোনোরকম কোন্দল  বা বিভাজন থাকবে না?

আমি এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত। কারণ এই কংগ্রেস নিয়ে যেহেতু লক্ষ লক্ষ লোকের একটা প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেস অবশ্যই সুশৃঙ্খল হবে কারণ যুবলীগ সুশৃঙ্খল একটি সংগঠন। এখানে উৎশৃঙ্খলতার কোনো সুযোগ নেই। যুবলীগ উৎশৃঙ্খল কোনো নেতাকে প্রশ্রয় দেয় না। কাজেই অনেক সুন্দর একটা কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা মনে করি। চাওয়া পাওয়া নিয়ে অনেকের ভেতরেই আকাঙ্খা থাকতে পারে কিন্তু সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার যে মানষিকতা বা এ রকমের দু:সাহস তাদের সংখ্যা হয়তো মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে বের করতে হবে। যেটা কংগ্রেসের খ্যাতি, যে লোকসমাগম, যে নান্দনিকতা, যে শৃঙ্খলা এই সব কিছুর কাছে এ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলি থাকে সেগুলো ধুয়ে মুছে বিদায় হয়ে যাবে।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোটে অংশ নেওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে শোকজ

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।

গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।

দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।

তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ হয়নি।


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে গণ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১০:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। 

অবশ্য এসব প্রার্থীর অনেকে এটি ‘দলীয় নির্বাচন নয়’ বলে দাবি করছেন, আবার কেউ কেউ ‘জনগণ তাদের চাচ্ছে’– এমন অজুহাত দেখাচ্ছেন। এমনকি দল থেকে বহিষ্কার হতে পারেন– সেই ভয় উপেক্ষা করেই নিজেদের এ অবস্থান জানান দিচ্ছেন তারা। আবার অনেকের দলে কোনো পদপদবিও নেই। অনেকে বহিষ্কৃত। এর পরও যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি হাইকমান্ড। শিগগির এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানা গেছে।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো দলের এমন সিদ্ধান্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বাস্তবায়ন করছে দলটি। এ জন্য দফায় দফায় তৃণমূল নেতাকর্মী ছাড়াও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গেও দফায় দফায় বৈঠক করেন নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেতারা এই নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত তুলে ধরেন। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ইচ্ছুকদের প্রথমে কাউন্সেলিং, নির্বাচনে না যাওয়ার আহ্বানের পাশাপাশি দলের কঠোর অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন নেতারা। এর পরও যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন, তাদের বিষয়ে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি আগেই উচ্চারণ করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। 

এদিকে গত সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বহিষ্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নেতারা বলছেন, স্থানীয় জনগণের চাপে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাছাড়া যেহেতু এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না তাই তারা স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করছেন। আর তাই বহিষ্কারের বিষয়টি তারা আমলে নিচ্ছে না। তবে দল তাদের ব্যাপারে নমনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন এমনটাও প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দিনাজপুর জেলার একটি উপজেলার বিএনপির প্রার্থী বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করার পরে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাচনে না যাওয়ার। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন করব, দল যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নেবে।

বিএনপি   গণ বহিষ্কার   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় থানায় জিডি

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন এ জিডি করেন।

জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ২০ বছর যাবৎ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই।’ 

একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।’

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতা থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না, এটা ঠিক না’

প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের। 

গতকাল সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে তার কক্ষে যান শাজাহান খান। এ সময় তার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি তো কথা শুনলেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তও মানলেন না।’

এ সময় সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তিরস্কার করেন শাজাহান খানকে।

জানা গেছে, শাজাহান খান এক পর্যায়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে বলেন, রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ছেলে আসিবুর রাজনীতিতে এসেছে। এ জন্যই সে প্রার্থী হয়েছে। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপির স্বজনের নির্বাচন না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রতিউত্তরে শাজাহান খান বলেন, অনেকেরই নিকটাত্মীয় রাজনীতিতে আছেন।

ওবায়দুল কাদের এ সময় শাজাহান খানকে বলেন, ‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না। এটা ঠিক না।’ এর জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘আপনার সিদ্ধান্ত দেরিতে জানিয়েছেন। আগে জানালে ভালো হতো।’ তখন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি আমার নয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কোন সিদ্ধান্ত কখন দেবেন, সেটা কি আমাদের জিজ্ঞাসা করে দেবেন?’

শাজাহান খানের উচ্চস্বরে কথা বলা নিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ নিয়ে বিরক্ত হন ওবায়দুল কাদেরও। তিনি শাজাহান খানের উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে দলের অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন। এর পরও আপনি সবার সামনে এসব অপ্রিয় কথা কেন বলছেন?

এ সময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুই সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কার্যনির্বাহী সংসদের দুই সদস্য আনিসুর রহমান ও সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মশিউর রহমান হুমায়ুন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী লোটন, বলরাম পোদ্দার এবং শাহজাদা মহিউদ্দিন।

ওবায়দুল কাদের   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভিডিও ভাইরাল হওয়া সেই চামেলীকে অব্যাহতি

প্রকাশ: ০৭:৩১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
 
এর আগে ওই নারী কাউন্সিলরের একটি নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কয়েকদিন ধরে নগর আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ঘুরপাক খায়। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আওয়ামী লীগ   ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন