নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯
শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। ২৩ নভেম্বরের সপ্তম কংগ্রেসকে সামনে রেখে শীর্ষ দুই পদ পেতে অনেকেই তৎপর। অনেক অনেক প্রশ্ন এখন এই কংগ্রেসের প্রাক্কালে ঘুরছে। যুবলীগের আসন্ন কংগ্রেসের প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলা ইনসাইডারের।
বাংলা ইনসাইডার: যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের প্রস্তুতি কেমন?
হারুনুর রশিদ: যুবলীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। যুবলীগকে দেশ গঠনের কারখানা বলা যায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাষ্ট্রচিন্তা এবং তার যে রাজনৈতিক দর্শন সেই আলোকে যুবলীগকে দেশ গঠন এবং গঠনমূলক রাজনীতিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যুবলীগ আজকের এই অবস্থানে। সেই সংগঠনের কংগ্রেসে স্বাভাবিকভাবে লক্ষ্য লক্ষ্য যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হতে চাইবেন। তাদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য রয়েছে। এদেশের যুব সমাজ যারা তারা এই সংগঠনটিকে ভালোবাসে। কারণ যুবলীগ লাখো যুবকের স্বপ্নের ঠিকানা। কারণ যুবলীগ যুবদের ধ্যান ধারণা আকাঙ্খাকে ধারণ এবং লালন করে। তার আলোকেই আমাদের নেত্রীর যে রাজনীত তা এগিয়ে নিয়ে যায় যুবলীগ। বর্তমান যুবরাইতো এক সময় এদেশের নেতৃত্ব দেবে। কাজেই তাদের বিষয়টা আমরা যেমন মাথায় রাখি তেমনি নেত্রীও মাথায় রাখেন। সেই আলোকেই আমরা কংগ্রেসে যুবলীগকে সাজাতে চাই। এ কারণে যুব সমাজেরও একটা গভীর উৎসাহ রয়েছে এই কংগ্রেসের ব্যাপারে।
এই কংগ্রেসে প্রাণপ্রিয় নেত্রী তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। এটা কিন্তু একটা মাইলফলক। এই কংগ্রেস দৃষ্টিনন্দন সুশৃংখল এবং খুব তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে সেই লক্ষ্যে যুবলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী। আমাদের সিনিয়র নেতা যারা, প্রেসিডিয়াম, জেল, মহানগরের যারা নেতা আছেন সবার মাঝে একটা চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু সেটা দৃশ্যমান হওয়া বাকি।
এবার যুবলীগের কংগ্রেস হচ্ছে একটা সংকটময় মুহূর্তে। যুবলীগের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে, টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। যুবলীগের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি এখন জেলে। এরকম একটা সংকটময় মুহূর্তে এখন যুবলীগের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত করতে গিয়ে আপনি কি কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি?
না, চ্যালেঞ্জ বলতে যেটি বোঝায় সেটা হলো একটি সফল কংগ্রেস মানেই তো একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু আনুষঙ্গিক যে বিষয়গুলো রয়েছে, যে সংকট বা সাময়িক যে বিষয়গুলি বিশেষ করে ইমেজ সংকটের যে বিষয়গুলো রয়েছে- আমি মনে করি এগুলো সাময়িক। এগুলো ব্যক্তির দায়। যুবলীগ একটি প্রতিষ্ঠান। এটা কোনো প্রতিষ্ঠানের দায় নয়। ব্যক্তির দায় বলতে ব্যক্তি বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়ও বিদায় হবে। আমার যদি কোনো কালিমা থাকে তার জন্য সংগঠন দায়ী নয়। যে নেতৃত্ব আসবে, তার জন্য আলোর দিগন্ত উন্মোচিত হবে এই কংগ্রেস।
আপনার কি মনে হয় না এর জন্য যুবলীগের ইমেজ সংকট হয়েছে? আপনি বললেন লাখো তরুণ যুবলীগ করে, তাদের কাছে যুবলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি?
ইমেজ সংকট যে কালিমার কারণে, সেই কালিমা এবং ইমেজ সংকট যাদের কারণে হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সংগঠন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সরকারের পক্ষেও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাজেই মানুষ কি চায়? মানুষ দেখে যে অপরাধ করলে তার শাস্তি হয় কি না। শাস্তি যেহেতু নিশ্চিত হয়েছে সংগঠন এবং সরকারের পক্ষ থেকে, কাজেই আমরা মনে করি এই কংগ্রেসের যে ঢেউ উঠবে, সবকিছুর মধ্য দিয়ে কংগ্রেস একটা মাইলফলক হিসেবে যখন প্রতিষ্ঠিত হবে, পিছনের যত কালিমা রয়েছে তা ধুয়েমুছে যাবে।
যুবলীগের নেতৃত্ব নিয়ে অনেক রকম আলোচনা হচ্ছে, পুরো দেশবাসীর আগ্রহ যুবলীগের নেতৃত্বে কে আসছেন। আপনি যুবলীগের জেনারেল সেক্রেটারি, আপনি কি মনে করেন, কি রকম নেতৃত্ব আসতে পারে?
যারা সংগঠনটিকে ভালোবাসে, এই সংগঠনে যাদের দীর্ঘদিনের ত্যাগ, শ্রম, ভালোবাসা রয়েছে, সেখান থেকেই নেতৃত্বে আসা প্রয়োজন। তবে সব কথার শেষ কথা, এই সংগঠন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার চিন্তাচেতনাকে লালন করে এবং তার আদর্শে পতাকা বহনকারী সংগঠন। কাজেই এই সংগঠনে যারা নেতৃত্বে আসবে, তাদেরকে অবশ্যই এই বিষয়ে অর্থাৎ যে নেত্রীর সেন্টিমেন্ট বুঝবে, নেত্রীর আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, নেত্রীর আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারবে- এমন নেতৃত্বই এই কংগ্রেসের মাধ্যমে আসা উচিৎ।
এবার এই কংগ্রেসে কতজন আসবেন, কাউন্সিলে কতজন আসবে, এই ব্যাপারে আপনারা কি ভাবছেন/জানেন?
আমাদের তো অনেকেই আসতে চায় সারা বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু আমাদের তো আয়োজনে সীমাবদ্ধতা আছে। সেখানে যে প্যান্ডেলটা করা হয়েছে, সব মিলিযে সেখানে যে আসন সংখ্যা, সেখানে লক্ষ যুবক আসতে চাইলেও আমি তো তাদের সেখানে অ্যাকোমোডেট (স্থান সংকুলান) করতে পারবো না। কাজেই দূর-দূরান্ত থেকে লোকগুলো এসে একটা কষ্টের ভিতরে পড়বে। কাজেই যেই আয়োজন আছে, সেই আয়োজনকে ছাপিয়ে সেখানে আমাদের ২৫-৩০ হাজার যুবক কংগ্রেসে আসতে পারবে।
সারাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব কি রকম হবে?
সেখানে প্রথমে তো উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন, তারপরে যখন কাউন্সিল শেষ হবে, সেখানে সাড়ে ২২শ এর মতো কাউন্সিলর থাকবেন।
কতজন কাউন্সিলর থাকবেন? কীভাবে এটা ঠিক করা হয়েছে?
এটা হচ্ছে প্রতি গ্যালারি ২৫ জন করে কাউন্সিলর। আমাদের যে জেলার ইউনিটগুলো রয়েছে, প্রতি জেলায় ২৫ জন করে কাউন্সিলর, আমাদের যে ইউনিট কোর্ড আছে জেলা, প্রতি জেলায় ২৫ জন করে কাউন্সিলর। এবং এই কাউন্সিলর নির্ধারণে জেলায় যদি নেতৃত্বের মধ্যে কোনো সংকট তৈরি হয় সেটারও পথনির্দেশ করা আছে আমাদের গঠনতন্ত্রে। সেটা হলো ১-২৫ এর মধ্যে যার মান থাকবে তারা কাউন্সিলর হয়ে যাবে। যদি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মতবিরোধও দেখা দেয় কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে তাহলে গঠনতন্ত্র নির্দেশ করে দিয়েছে তোমাদের মতবিরোধ থাকলেও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে যাবো অটোম্যাটিকালি ১-২৫।
আপনার কি মনে হয় এবার যুবলীগের নেতৃত্ব হবে কি ভোটের মাধ্যমে নাকি সর্বসম্মত ভিত্তিতে? প্রত্যেকবারই তো আমরা দেখি এটা একটা আলোচনার মাধ্যমে হয়। এবার কিভাবে হবে। যেহেতু এবার কংগ্রেসটা একটা অন্য রকম তাৎপর্য নিয়ে আসছে?
যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর ৪৭ বছর পেরিয়ে গেছে। এর আগে ছয়টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা সপ্তম কংগ্রেস। কোনো কংগ্রেসেই যুবলীগের কর্মীরা সেখানে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক, এটা যুবলীগের কর্মীদের মানষিকতার মধ্যে নেই। কারণ তারা মনে করে সংগঠনের মালিক আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তার সংগঠন কিভাবে সুচারুভারে পরিচালিত হবে সবার চেয়ে তিনিই ভালো বুঝবেন। এবং যারা উনার কাছে আকাঙ্খা প্রকাশ করে তাদের মধ্যে থেকে তাদের সার্ভিস রেকর্ড, তাদের ভূমিকা, তাদের সাহসিকতা, সংগঠন পরিচালনায় তাদের অভিজ্ঞতা, তাদের দক্ষতা, তাদের বুদ্ধিমত্তা তাদের মেধা সবকিছু বিবেচনায় এনেই নেত্রী সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী এমন ধরণের আকাঙ্খা প্রকাশ করে নেত্রী যতদিন জীবিত আছেন তিনিই নির্ধারণ করবেন যুবলীগের নেতৃত্বে কে আসবেন।
আপনি তো দীর্ঘদিন যুবলীগের সঙ্গে আছেন। নতুন নেতৃত্বের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি?
নতুন নেতৃত্বে যারা আসবে তাদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা রাজনীতিকে যেন সৎভাবে গ্রহণ করা। এটি একটি সততার পেশা। এটা মানুষের কল্যাণে কাজ করে। কাজেই আমি সংগঠনে আসবো কিছু নেওয়ার জন্য নয় কিছু দেওয়ার জন্য এমন চিন্তা থাকতে হবে। আমরা জাতিকে, তরুণ প্রজন্মকে তাদেরকে দেওয়ার মানষিকতা নিয়েই। প্রথম শর্ত হলো দেওয়ার মানষিকতা, ত্যাগী মনোভাব থাকতে হবে, সাহস থাকতে হবে যে মনোভাব প্রেষণ করি তা বাস্তবায়নে কোনো বাধা প্রতিবন্ধকতা যদি সামনে এসে দাঁড়ায় তাহলে সেটা অতিক্রমের একটি সাহস থাকতে হবে। কাজেই নতুন নেতৃত্বের কাছে এটিই প্রত্যাশা করব যে, এই দেশের যুব সমাজের যে চিন্তা চেতনা ধ্যান-ধারণা আকাঙ্খা সেটা ধারণ করে, লালন করে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের, আমাদের আদর্শিক নেতা, আমাদের পথপ্রদর্শক তার যে চিন্তা চেতনা সেটা যেন নতুন নেতৃত্ব ধারণ করে একটা পরিচ্ছন্ন্য সংগঠন, একটা আদর্শ সংগঠন। যেই সংগঠনে শুধু প্রশংসায় থাকবে বা সেই সংগঠনে যেন কোনো অপবাদ পিছু না নেয় সেই ধরণের কর্মসূচি তাদের গ্রহণ করতে হবে। সংগঠনকে সেভাবেই সাজাতে হবে, যেনো কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি সংগঠনে আসতে না পারে। যার জন্য সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এমন ব্যক্তি যেন সংগঠনের কোনো স্তরে যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেটি নতুন নেতৃত্বকে নিশ্চিত করতে হবে।
আপনি কি মনে করেন এই কংগ্রেস সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে, কোনোরকম কোন্দল বা বিভাজন থাকবে না?
আমি এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত। কারণ এই কংগ্রেস নিয়ে যেহেতু লক্ষ লক্ষ লোকের একটা প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেস অবশ্যই সুশৃঙ্খল হবে কারণ যুবলীগ সুশৃঙ্খল একটি সংগঠন। এখানে উৎশৃঙ্খলতার কোনো সুযোগ নেই। যুবলীগ উৎশৃঙ্খল কোনো নেতাকে প্রশ্রয় দেয় না। কাজেই অনেক সুন্দর একটা কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা মনে করি। চাওয়া পাওয়া নিয়ে অনেকের ভেতরেই আকাঙ্খা থাকতে পারে কিন্তু সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার যে মানষিকতা বা এ রকমের দু:সাহস তাদের সংখ্যা হয়তো মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে বের করতে হবে। যেটা কংগ্রেসের খ্যাতি, যে লোকসমাগম, যে নান্দনিকতা, যে শৃঙ্খলা এই সব কিছুর কাছে এ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলি থাকে সেগুলো ধুয়ে মুছে বিদায় হয়ে যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।