নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯
জামাতের নতুন আমির নির্বাচিত হয়েছেন শফিকুর রহমান। অত্যন্ত গোপন ভোটের মাধ্যমে এই আমির নির্বাচন করা হয়। এই গণ ধিকৃত, স্বাধীনতা, বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের দলটির নেতা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কারো মাথা ব্যাথা নেই।
কিন্তু তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপির দুজন নেতা জামাতের সদ্য নির্বাচিত যুদ্ধাপরাধীদের দলের আমিরকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতারা কিছুই জানেন না। তাদের অজ্ঞাতসারেই এই শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির মধ্যে জামাত বিরোধী মনোভাব তীব্র হচ্ছিল এবং আন্তর্জাতিক ও দেশীয় মহল থেকে বারবার বলা হচ্ছিল জামাতের সঙ্গে গাটছাড়া ত্যাগ করতে হবে তাহলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। বিশেষ করে কূটনৈতিকদের সঙ্গে বিএনপি যে কয়বারই মিটিং করেছে সে কয়বারই জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই কারণেই ২০ দলকে মোটামুটি অর্ধমিত অবস্থায় রেখেছে বিএনপি। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, এটা তাদের কৌশলগত অবস্থান। কারণ জামাতের সঙ্গে বৈঠক করলেই সেটা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। এজন্যই তারা প্রকাশ্যে জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেনি। কিন্তু ২০ দল থেকে যে বেরিয়ে যাওয়া বা জামাতকে বাদ দেওয়া এই বিষয়টির ব্যাপারেও বিএনপি নিরবতা পালন করছে। কারণ বিএনপি জানে যে, জামাত এবং বিএনপি আদর্শিকভাবে একই বিন্দুতে মিলিত হয়েছে। এ কারণেই বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে যেমন ২০ দল বিলুপ্ত করেনি তেমন অনুষ্ঠানিকভাবে জামাতের সঙ্গে সম্পর্কও ত্যাগ করেনি। বরং ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বিএনপি জামাতকে ধানের শীষ প্রতীক উপহার দেয়। দিয়ে তাদেরকে পুন:প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেয়।
এই বাস্তবতায় জামাত যখন তাদের নতুন আমির নির্বাচন করেছেন তখন একমাত্র বিএনপিই তারেক জিয়ার নির্দেশে অভিনন্দন জানিয়েছে। জামাতকে এই অভিনন্দন জানানোর মধ্য দিয়ে বিএনপিতে এখন তোলপাড় চলছে।
বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন যে, যদি জামাতের নতুন আমিরকে অভিনন্দন জানানো হয় তাহলে দলীয়ভাবে হবে। কিন্তু মহাসচিবের অজ্ঞাতসারে তারেক জিয়ার পক্ষে দুজন নেতা গিয়ে ফুল দেওয়াটাকে বিএনপির যে চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। বিএনপির কোন সিদ্ধান্ত যে আগেভাগে কেউ জানে না সেটিরই আরেকটি দৃষ্টান্ত বলে মনে করছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।