নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯
আগামীকাল শনিবার আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাসিনো বাণিজ্য, দুর্নীতির অভিযোগে এই সম্মেলনের আগেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওছারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকেও সম্মেলনের কার্যক্রম থেকে সরিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন একটা বড় চ্যালেঞ্জ মনে করা হলেও বাস্তবে এই সম্মেলনটি একটি আনুষ্ঠানিকতা হিসেবেই পালন করা হচ্ছে। কারণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই শীর্ষ দুইনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও বাকিদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো অভিযোগ নেই। আর তাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কমিটিতে যারা সহ সভাপতি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদগুলোতে রয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকেই কেউ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন নেতৃত্বে আসতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।
সেই বিবেচনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগে এবার কোনো চমক আসছে না। বাইরের কাউকে নিয়ে এসেও কমিটিতে জায়গা দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, নতুন কমিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন। একাধিক সূত্রগুলো বলছে, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক নির্মল রঞ্জন গুহকে সম্ভবত স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদটা দেওয়া হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অন্য সহ সভাপতি যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে মতিউর রহমান মতি, আফজালুর রহমান বাবু এবং মঈন উদ্দিনের নামও আলোচনায় রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিয়ে খুব বড় এক্সপেরিমেন্ট করতে চায় না আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিন সাচ্চুর নাম সামনে এসেছে। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুল আলীম বেপারী, খায়রুল হাসান জুয়েল, শেখ সোহেল রানা টিপু, সাজ্জাদ শাকিব বাদশা ও সুব্রত পুরকায়স্থর নাম এসেছে।
তবে আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষনেতা বলেছেন যে, আবদুল আলীম বেপারী যেহেতু ১৫ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত এবং ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক থাকাকালে দলের কঠিন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, দলে ক্লিন ইমেজ থাকার কারণে মেজবাহ উদ্দিন সাচ্চুকে টপকে তিনি হয়ত শেষপর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদ গ্রহণ করতে পারেন।
তবে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, যুবলীগ বা ছাত্রলীগে যেরকম সর্বত্র পচন ধরেছিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি সেরকম নয়। স্বেচ্ছাসেবক কমিটিতে যে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো তাদের একান্তই ব্যক্তিগত। এসমস্ত কর্মকাণ্ডের জন্য তারা দলকে ব্যবহারও করতে পারেনি।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যক্রমগুলো গভীরভাবে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকেরা মনিটরিং করেছেন। তাতে তাদের অভিমান হচ্ছে যে বর্তমানে যারা বিভিন্ন পদে রয়েছেন তাদের মধ্যে থেকেই কাউকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাউকে নেতৃত্বে আনা হবে। সেক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আগামীকালের সম্মেলনে বড় কোনো চমক থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।