নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯
ওয়ান ইলেভেনের মত করে ‘আবার নতুন রাজনৈতিক দলের তোড়জোড়’ শিরোনামে গত ১২ নভেম্বর ২০১৯ একটি জনপ্রিয় বাংলা পোর্টালে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এটা খুব একটা পাঠক সমাদৃত না হলেও খবরটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অন্তত অনেকের কাছেই। খবরে বলা হয়, বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিকল্পধারায় যোগদান করেও অসন্তুষ্ট। আওয়ামী লীগের কিছু নেতাও ভালো নেই, সামনে আরও কিছু নেতার ভাগ্যে কী আছে তা তাঁরা নিজেরা ভালো বোঝেন। তাই এদের সবাইকে নিয়েই নতুন একটি রাজনৈতিক দল গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বেই এই নতুন রাজনৈতিক দল হচ্ছে। অন্য একটি সূত্র দাবি করেছে ড. কামাল হোসেন নন, শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলটি হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনুস একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু শুরুতেই সেই উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এরপর ড. ইউনুস রাজনৈতিক দল গড়ার প্রক্রিয়া থেকে সরে আসেন। এরপর তাকে আর রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা যায় নি।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোতে সিনিয়র এবং প্রবীণ নেতারা দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এটা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই দলের ক্ষেত্রে একইভাবে প্রযোজ্য। এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিক্ষুব্ধদের এবং দেশের সুশীল নামে পরিচিত সমাজের একটি অংশকে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগের নেপথ্যে কারা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তবে কেউ না কেউ আছে তা নিশ্চিত। তা না হলে আবার এই উদ্যোগ কেন এখন যখন ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলো, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির জন্য ডান বামের অনেক বড় বড় নেতা আছে বাঁচার জন্য নতুন পথ খুঁজে ফিরছেন। বিকল্প একটা রাজনৈতিক প্লাটফর্ম খুঁজছেন, যাতে উঠে ক্ষমতার মসনদে যাওয়া যায়।
বিভিন্ন দল ও মতের মানুষেরা আবার নানা বাহানায় এক হবার চেষ্টা করছেন তাঁদের বিশেষ স্বার্থে। তাঁরা ভাবছেন যে, সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগ ও তাঁর জোটের নিয়ন্ত্রণ করছেন। সেখানে খোন্দকার মুস্তাকের মত বেঈমানের অভাব নেই। তাঁদের ব্যবহারে তাই তাঁরা এবার কৌশল পালটেছে। এবার তাঁরা আর উত্তরা ষড়যন্ত্রের মত কোন বৈঠকের ঝুঁকি নিচ্ছে না। এবার কথা হচ্ছে বিদেশের মাটিতে। যার নেতৃত্বে আছেন ড. মোহাম্মদ ইউনুস আর ড. কামাল হোসেন। ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা আছেন সাথে। তাঁরা নতুন কৌশল নিউয়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে যে, ড. ইউনুস আর ড. কামাল গংদের সহায়তায় জামায়াতের টাকায় নিয়জিত লবিস্টরা তাঁদের গোপন মিটিং পয়েন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের একাধিক এনজিও অফিস। সেখানেই হচ্ছে নানা ষড়যন্ত্রের তথ্য আদান প্রদান, খোন্দকার মুস্তাকের সন্ধান। যাতে রোহিঙ্গা সহায়তার ছদ্দবারণে আরেকটি ওয়ান ইলেভেন করা যায়। সূত্রে আরও জানায় যে, রিসদা- বাংলাদেশ নামে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি এনজিও যা পরিচালিত হয় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একজন যুদ্ধাপরাধীর টাকায়, তাঁর কক্সবাজার ও ঢাকার মিরপুরের অফিসে চলে সন্দেহজনক নানা কার্যক্রম। অন্যদিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগড়া এলাকার একজন সাংসদ যিনি ফয়জুল্লাহ ফাউন্ডেশনের নামে যে কার্যক্রম চালান তাতেও অনেকের সন্দেহ। তাঁর অজ্ঞাতেই ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার অফিসের অভ্যন্তরে চলে সন্দেহজনক মানুষের আনাগোনা। কারণ দপ্তরের অধিকাংশ কর্তা কর্মচারী রিসদা –বাংলাদেশের আদর্শিক গুরুর অনুসারী। কিন্তু বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের রায়ে কোন বাহিনীর ক্ষমতা নেওয়া অবৈধ ঘোষণা আর জাতিসংঘ শান্তি মিশনের শরতের কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা কোন বাহিনীকে দিয়ে কিছু করতে পারছে না।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।