নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৯
দেশে যখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অস্বস্থি, পরিবহন শ্রমিকদের চোখ রাঙানি, পেঁয়াজের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, হঠাৎ হঠাৎ করে রেল দুর্ঘটনা, লবণের বাজারে গুজব সন্ত্রাস ইত্যাদি ঘটনা চলছে সেই সময় দেশে সুশীল সমাজ হিসেবে পরিচিত কয়েকজনের তৎপরতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এই সমস্ত সুশীলরা গত কিছুদিন ধরে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। বিভিন্ন দূতাবাসে সুশীলদের যোগাযোগ বেড়েছে এবং দূতাবাস গুলোর সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা রকম আলোচনা, উষ্মা, উৎকন্ঠা এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করার খবর পাওয়া গেছে।
বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, ৮ সুশীল সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নিজেদের মধ্যে একাধিক বৈঠক করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ড. কামাল হোসেন, ড. মোহাম্মদ ইউনুস, ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য, ড. শাহদীন মালিক, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনাম, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং সুলতানা কামাল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে. ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে গত এক সপ্তাহে অন্তত তিনটি দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে দুইটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ড. কামাল হোসেনের বাড়িতে। আর একটি দূতাবাসের কর্মকর্তারা তার ল’চেম্বারে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।
ড. মোহাম্মদ ইউনুস গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে দেশে আসেন। এরপর শ্রম আদালকে হাজির হয়ে মুচলেকা দিয়ে জামিন পান। এরপরই তাকে দেশে তৎপর দেখা যাচ্ছে। এই সময় তিনি বিভিন্ন দূতাবাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ড. মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের দীর্ঘ এক ঘন্টার বৈঠকের তথ্য আমাদের হাতে এসেছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সংস্থাটির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যর সব সময়ই সরকার বিরোধী এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে তীর্যক চোখে দেখার অভ্যাস রয়েছে। সাম্পতিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন সূচককে তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন। তার সঙ্গেও একাধিক দূতাবাসের বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ড. মোহাম্মদ ইউনুসসহ একাধিক সুশীলের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছেন বলেও তথ্য বাংলা ইনসাইডারের হাতে এসেছে।
আইনজীবি ড. শাহদীন মালিক অজানা কারণে কট্টর সরকার বিরোধী। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এর পাশাপাশি ড. মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। এবং প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সম্পাদকের সঙ্গে তার বৈঠকের খবরও জানা গেছে।
হোসেন জিল্লুর রহমান সম্প্রতি ফজলে হাসান আবেদ অবসের যাওয়ার পর ব্রাকের চেয়ারপারসন হয়েছেন। এরপর থেকে তাকে তৎপর দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে কুটনৈতিক পাড়ায় তার নিয়মিত যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ড. মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগের তথ্য কারো অজানা নয়। আর এসমস্ত প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সুলতানা কামাল। তিনিও এখন সরকারের বিরুদ্ধে সরব।
সুশীলদের এই সব তৎপরতা কি নিছক রুটিন কাজ নাকি অন্য কোনো ষড়যন্ত্র আছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই আমরা মনে করি। কারণ বাংলাদেশে যতবারই অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো এসেছে তার আগে সুশীলকে তৎপর দেখা গেছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দূতাবাসে সুশীলদের যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য চেষ্টা চলছে। গুজব সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার যে ষড়যন্ত্র তার সঙ্গে সুশীলদের সাম্প্রতিক তৎপরতার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ বাংলাদেশে যখনই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয় তখন সবচেয়ে উল্লসিত হয় সুশীল সমাজ। যদিও তারা সব সময় গণতন্ত্রের কথা বলে। আর এই সুশীল সমাজের পৃষ্ঠপোষকতাতেই বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় অগণতান্ত্রিক শাসন জেকে বসেছিল। তার সর্বশেষ উদাহরণ হলো ওয়ান ইলেভেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।