নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৯
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি থেকে ছিটকে পড়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। সাবেক ছাত্র নেতাদের প্রত্যাশা ছিলো অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন কমিটিতে তাদের কাঙ্খিত ঠাঁই মিলবে। কিন্তু বিধিবাম তা হয়নি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমলনামা থাকার কারণে।
বিশেষ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোল্লা মোহাম্মদ আবু কায়সার, পংকজ দেবনাথ স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে ছিটকে পড়লেও অনেকের ধারনা ছিলো কাঙ্খিত পদ-পদবী পাবেন মহানগরের কমিটিতে কিন্তু ইতিমধ্যে দুজনেই নিশ্চিত হয়েছেন মহানগরে কোন কমিটিতে তাদের ঠাঁই মিলছে না। যুবলীগের কমিটিতে অনেকেরই প্রত্যাশা ছিলো পদ-পদবী পাবার। কিন্তু সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, বির্তকিতদের কোনভাবেই রাখা হবেনা কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটিতে। এখানে আশাহত হচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতারা। বিশেষ করে সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে শফি আহমেদ, লিয়াকত সিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন অপু, ইকবালুর রহিম, অজয় কর খোকন, বাহাদুর বেপারী, শাহজাদা মহিউদ্দিন,আমিনুর রহমান আমিন, বলরাম পোদ্দার, সুভাষ সিংহ রায়, জাকির হোসেন, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হক রোটনসহ বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় থাকা সত্ত্বেও আগামীতে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিল পরবর্তী কমিটিতেও তাদের কাঙ্খিত পদ-পদবী মিলছে না বলে দলের অভ্যন্তরের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার মাঠ জরিপে দেখা গেছে, সাবেক এসব ছাত্রনেতারা প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিশেষভাবে লাভবান হয়েছেন এছাড়া তারা বিভিন্নভাবে সংগঠনের ভাবমুৃর্তি নষ্ট করে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা তৈরীতে বিশেষ অবদান রেখেছেন। আর এসব বিচেনায় এবার দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতিতে বির্তকিত কর্মকান্ডে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রনেতাদের প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে পদ-পদবী থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তবে সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে যাদের ভূমিকা ভালো তাদের ব্যাপারে দলীয় সভানেত্রীর ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে বলে জানা গেছে। সাবেক দুই ছাত্রনেতা বর্তমান মন্ত্রীসভার সদস্য এনামুল হক শামীম এবং খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের আগামী কাউন্সিলে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে জানান, বিতর্কিত এবং বহিরাগত কাউকেই আর আওয়ামী লীগ কিংবা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটিতে আর দেখা যাবেনা। তার মতে, দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।