নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিলকে ঘিরে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা থাকলেও কালো মেঘের ছাঁয়া পড়েছে কতিপয় নেতার বিতর্কিত কর্মকান্ডকে ঘিরে। বিশেষ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগে এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। আগামী কাউন্সিলে যারা পদ প্রত্যাশী ছিলেন তারা বর্তমানে চিন্তিত। দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেবিলে এসব বির্তকিত নেতাদের আমলনামা থাকার কারণে দলের হাইকমান্ডের কাছেও তারা বেশি উচ্চবাচ্য করতে পারছেনা। ইতিমধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব বির্তকিত নেতাদের ব্যাপারে হুসিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। আর এরপর থেকে নড়েচড়ে বসেছেন এসব বির্তকিত নেতারা।
জানা গেছে, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিতকিতরা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে পদ পাচ্ছেন না এটি নিশ্চিত। তবে সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কংগ্রেস শেষ হয়েছে। যারা যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে রয়েছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিভিন্ন কর্মকান্ডে বিতকিত হওয়ায় তাদের বাদ দেয়া হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। ইতিমধ্যে শাওন ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়েছে দুদক। এছাড়া সিরাজুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান হিরন ও বেসিক ব্যাংকের সাবেক পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম অন্যতম।
আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বেসিক ব্যাংকের সাবেক পরিচালক।
মাহবুবুর রহমান হিরন, যুবলীগের সাবেক প্রেসিয়াম সদস্য এবং রুপালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক।আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। যিনি যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ওমর ফারুক চৌধুরী চেয়ারম্যান হওয়ার পর আনোয়ারকে এক লাফে পদোন্নতি দিয়ে প্রেসিডিয়াম মেম্বার করা হয়। দুদকের তদন্তে বেসিক ব্যাংক কেলেংকারিতে আনোয়ারের নাম রয়েছে।
বির্তকিত কর্মকান্ডের কারণে সদ্য বাদ পড়া আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউসার। যার বিরুদ্ধে ক্যাসিনো কেলেংকারীর অভিযোগ উঠায় ইতিমধ্যে দুদক তার সম্পদের হিসাব বিবরনী চেয়েছে। ইতিমধ্যে তার সকল ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকেও পদচ্যুত করা হয়। আগামী কাউন্সিলে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বির্তকিত নেতাদের কোনভাবেই আওয়ামী লীগের কোন পদে রাখা হচ্ছেনা বলে দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।