নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল থেকে প্রাপ্ত সূত্রে এখন পর্যন্ত মোটামুটি নিশ্চিত এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যিনি হবেন তাকে ফুলটাইম (পূর্ণকালীন) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি মন্ত্রীত্ব করতে পারবেন না। এই বিবেচনায় সাধারণ সম্পাদক পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে।
ওবায়দুল কাদের এবং ড. আব্দুর রাজ্জাক দুজনেই সাধারণ সম্পাদক পদের দাবিদার। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীত্ব ছাড়তে রাজি হবেন কিনা সেটা নিয়ে অনেকের মধ্যেই আলোচনা রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের যে প্রতিযোগিতা সেখানে পিঁছিয়ে থাকলেও হাল ছাড়েননি এমন কয়েকজন নেতাও রয়েছে যারা মন্ত্রীত্ব ছাড়াই দলের সাধারণ সম্পাদকের পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালন করতে চায়।
এদের মধ্যে দুইজন রয়েছেন যারা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। এ দুইজনই গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন না পেলেও দলের সভাপতির সঙ্গে তারা নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এখন আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মকাণ্ডে তারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। এরা হলেন দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এবং দলের আরেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। তবে এই দুইজনের চেয়ে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মাহবুবুল আলম হানিফ। মাহবুবুল আলম হানিফ আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। তিনি এমপি হলেও মন্ত্রিত্ব পাননি এবং ওবায়দুল কাদের যখন অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে ছিলেন, তখন তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেশ ভালোভাবেই দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে আওয়ামীলীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এই তিনজনই সাধারণ সম্পাদক মনোনয়নের দৌড়ে খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন। কারণ এখনো সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মূল ভাবনা রয়েছে ওবায়দুল কাদেরকে ঘিরে। এমনকি আওয়ামীলীগের অনেক নেতা মনে করছেন যে শেষ পর্যন্ত হয়তো ওবায়দুল কাদেরের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে মন্ত্রিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক রাখা হতে পারে।
তবে আওয়ামীলীগের অধিকাংশ শীর্ষস্থানীয় নেতা এরকম সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক বৈঠকে স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক পদটি আলাদা করতে চান এবং দলের সাংগঠনিক তৎপরতায় বিন্যাস করতে চান। অন্য একটি আওয়ামীলীগের সূত্র বলছে, আগামী দিনের বিবেচনা করে দলের মধ্যে তরুণ কাউকেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এনে চমক সৃষ্টি করতে পারে। এদের মধ্যে আলোচনায় আছেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং এনামুল হক শামীম। এরা দুজনই দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মন্ত্রী। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আগামী প্রজন্মকে জায়গা করে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে তরুণ কাউকে দেওয়া অসম্ভব কিছু না।
তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছে এ সবই হলো জল্পনা কল্পনা আর আলোচনার খোরাক। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন কাকে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক করবেন। তিনি অনেক বিষয় বিবেচনা করেই দলের সাধারণ সম্পাদক পদ চূড়ান্ত করবেন। কাজেই সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা জানার জন্য আগামী ২০ এবং ২১ ডিসেম্বর পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে।
তবে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে একটা চমক আসছেই।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।