নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এই কাউন্সিল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ব্যাপক রদবদল হবে। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা এবং খোদ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে, এবার কাউন্সিলে অনেক রদবদল হবে এবং একমাত্র সভাপতি ছাড়া আর কারও পদই নিশ্চিত নয়। কাউন্সিল অধিবেশনকে ঘিরে নতুন কমিটিতে কারা থাকবেন এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ শুরু করেছেন। তিনি বিভিন্ন নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছেন। তিনি বিভিন্ন নেতাদের পারফর্মেন্স পর্যালোচনা করছেন বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এর ভিত্তিতে বর্তমান কমিটি থেকে অনেকে বাদ পড়বেন এটা যেমন সত্য, তেমনি বর্তমান কমিটি থেকে বেশ কয়েকজনের পদোন্নতির খবরও পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, বিগত তিন বছরে যারা ভালো কাজ করেছেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে। একই সঙ্গে যারা মন্ত্রী-এমপি কিংবা অন্য কোনো বড় পদ গ্রহণ করেননি তাদেরকে পুরষ্কৃত করা হবে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে এবার প্রেসিডিয়ামে আনা হতে পারে। তিনি গত কাউন্সিলে মর্যাদাপূর্ণ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ১ নম্বর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী এবং সহ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবার পদোন্নতি পেতে পারেন। তিনি দপ্তর সম্পাদক বা অন্য কোনও সম্পাদকমণ্ডলীর দায়িত্ব তাকে দেওয়া হতে পারে।
সহ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামও এবার পদোন্নতি পেয়ে সম্পাদকমণ্ডলীতে আসতে পারেন বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাতীয় চার নেতার সন্তান খায়রুজ্জামান লিটন এবার সদস্য পদ থেকে প্রেসিডিয়ামে পদোন্নতি পেতে পারেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
মুন্নুজান সুফিয়ান বর্তমানে সদস্য আছেন। মন্ত্রিত্ব ছাড়া সাপেক্ষে তিনি সম্পাদকমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
এস এম কামাল হোসেনও বর্তমানে সদস্য হিসেবে আছেন। গত নির্বাচনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার পুরষ্কার হিসেবে তিনি সম্পাদকমণ্ডলীতে আসতে পারেন।
সাবেক মন্ত্রী এবং যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এখন কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য। এবার তিনি সম্পাদকমণ্ডলীতে থাকতে পারেন।
অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অথবা মেয়র পদের জন্য তিনি আগ্রহী ছিলেন। একাধিক সূত্র বলছেন যে তিনি দলের সম্পাদক মণ্ডলীতে আসতে পারেন।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মারুফা আক্তার পপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনিও এবার সম্পাদক মণ্ডলীতে আসতে পারেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য যে, এবার সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের যে কমিটি হবে, সেটি সংগঠন নির্ভর কেন্দ্রীয় কমিটি হবে। পারতপক্ষে মন্ত্রী-এমপিদেরকে এই কমিটিতে রাখা হবে না। সে কারণেই যারা এখন কেন্দ্রিয় কমিটিতে আছেন, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং মন্ত্রী-এমপি নন তাদের পদোন্নতির সম্ভাবনা বেশ। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।