নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
দলীয় কর্মকাণ্ডে সব সময় তারা সরব, সব সময় তাদের দেখা যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আশেপাশে। কিন্তু এবার কাউন্সিলে তাদের উপর খড়গ নেমে আসতে পারে। দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকলেও নানা কারণে তারা বিতর্কিত। আর একারণেই তারা বাদ পড়তে পারেন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে। এমন আশঙ্কা করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র।
এরা দলে অনুপ্রবেশকারী নয় বরং আওয়ামী লীগ নিয়ে তাদের উৎসাহ এবং বিভিন্ন সময় তাদের অবদানও কম নয়। কিন্তু নানা কারণ ও বাস্তবতায় তারা দলের মধ্যে অপাংক্তেয় হয়ে পড়েছে। এরা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। তারপরেও আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে তারা কাজ করছে এবং এখন কাজ করছেন। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তাদের বাদ পড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র। এরা যদি বাদ পড়েন তাহলে এদের রাজনৈতিক জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। এরকম আশঙ্কায় যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন;
জাহাঙ্গীর কবির নানক
জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে মোহাম্মদপুরের আসন থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এরপর তিনি দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। প্রায় সব সময় দলীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে তাকে দেখা যায়। আওয়ামী লীগ সভাপতির দেওয়া বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট/ দায়িত্ব তিনি পালন করেন। আর এই সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু এবার দলের কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় কমিটির থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক অন্যতম।
জানা গেছে যে মোহাম্মপুরের কমিশনার রাজিবের সঙ্গে সখ্যতা ও ঋণ খেলাপিসহ নানা কারণে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে তিনি বাদ পড়তে পারেন।
আব্দুর রহমান
আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনিও মনোনয়ন পাননি। দলীয় কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয়। কিন্তু এবার কাউন্সিলে তাঁর ভাগ্য অনিশ্চিত বলে একাধিক দায়িত্বশীল নিশ্চিত করেছে। আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের কমিটি সিন্ডিকেটের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তিনি দলকে শক্তিশালী করার চেয়ে দলের মধ্যে গ্রুপিংকে উসকে দেয়ার অভিযোগ হরহামেশাই করা হয়। এসমস্ত কারণে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়াদের তালিকায় তিনিও থাকতে পারেন বলে অনেকেরই ধারণা।
বিএম মোজাম্মেল
বিএম মোজাম্মেল আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনিও বিগত নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন। কিন্তু সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তাঁর পারফরমেন্স সন্তোষজনক নয় বলেই মনে করে আওয়ামীলীগের হাই কমান্ড। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের জন্য যে গুণাবলীর দরকার, সেই গুণাবলীর অভাব তাঁর মাঝে আছে বলেই অনেকে মনে করেন। আর এ কারণেই এবারের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তিনি বাদ পড়তে পারেন।
মৃণাল কান্তি দাস
মৃণাল কান্তি দাস মুন্সীগঞ্জ থেকে নির্বাচিত আওয়ামীলীগের এমপি। তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলেও আলো ছড়াতে পারেননি দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত এই নেতা। আর এই কারণেই তরুণদের জায়গা করে দিতে গিয়ে তিনি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা অনেকের।
মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া
মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদও তাঁর থাকবে কিনা এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কারণ ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। ঢাকা উত্তরের সভাপতি পদের জন্য তিনি চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নেত্রী তার প্রতি সুপ্রসন্ন হয়নি। এখন তার রাজনীতি শেষের দিকে কিনা সেটা দেখার বিষয়।
এরকম আওয়ামী লীগের আরো কিছু নেতৃত্ব আছেন যারা আগামী কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগে পদ প্রত্যাশী নেতা অনেক। যারা যোগ্য, দক্ষ এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিতর্কমুক্ত তাদেরকেই নেতৃত্বে জায়গা করে দিতে হবে এটাই নিয়ম। আর সে বিবেচনা থেকেই এবার আওয়ামী লীগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন