নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯
আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দুপুর ১টা থেকে এক ঘন্টা ব্যাপী স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন খালেদা জিয়ার জন্য নিয়োজিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। চিকিৎসা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তারা একটি রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এই মেডিকেল রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে মেডিকেল বোর্ড। এ ব্যাপারে তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই আর তারা জানেনও না রিপোর্টে কি আছে। একটি খাম বন্দি রিপোর্ট আগামীকাল আপিল বিভাগে জমা দেওয়া হবে। কিন্তু একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এই মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টে খালেদা জিয়ার গুরুতর কোনো অসুস্থতা নেই। আর চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতাল বা বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, মেডিকেল বোর্ডে খালেদা জিয়ার তিনটি অসুস্থতার কথা বলা হয়েছে। অসুস্থতাগুলো বার্ধক্যজনিত বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে বাতের সমস্যা। এটিই সবচেয়ে প্রকট। এছাড়া তার অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রয়েছে। যেটি ইতোমধ্যেই নিয়ন্ত্রনে এসেছে। এছাড়া তার রয়েছে দাঁতের সমস্যা। যেটিও এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বঙ্গবন্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচেয়ে আধুনিকতম এবং সুসজ্জিত হাসপাতাল। এই হাসপাতালেই যে কোনো ধরণের উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। কাজেই চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তাররা গাফিলতি করছে না।
একাধিক সূত্র বলছে, রিপোর্টে এটাও নিশ্চিত করা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াও চিকিৎসকদের কাজে সন্তুষ্ট। তিনি চিকিৎসকদের প্রতি আস্থাশীল। এই পরিস্থিতিতে মেডিকেল বোর্ড মনে করে বেগম খালেদা জিয়ার এখন যেভাবে চিকিৎসা চলছে তা যথাযথ এবং তাকে আধুনিক চিকিৎসায় দেওয়া হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রিপোর্টের ভিত্তিতে কি সিদ্ধান্ত নেবেন তা বোঝা যাবে আগামী ১২ ডিসেম্বর। ঐ দিনে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আপিল বিভাগে।
এদিকে বিএনপি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ১২ ডিসেম্বর যদি বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না হয় তাহলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।