নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯
চলতি মাসেই মন্ত্রিসভার রদবদল হচ্ছে। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে এ ব্যাপারে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে কাজ করছেন। তবে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনের আগে মন্ত্রিসভার রদবদল হবে নাকি কাউন্সিল অধিবেশনের পরে রদবদল হবে এ নিয়ে এখনো সংশয় রয়ে গেছে।
একটি সূত্র বলছে, কাউন্সিলের আগেই প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার রদবদল করতে চান। কারণ দলে যারা নেতৃত্ব পাবেন তারা যেন পূর্ণকালীন সদস্য হন সেটা নিশ্চিত করার জন্যই কাউন্সিল হওয়ার আগে মন্ত্রিসভার রদবদল করা হতে পারে।
অন্য একটি সূত্র বলছে, কাউন্সিল অধিবেশনের পরেই মন্ত্রিসভার রদবদল হবে। কাউন্সিলে যাদেরকে কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে বসানো হবে তাদেরকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়ে কাউন্সিলের পরে মন্ত্রিসভায় একটি বড় ধরণের রদবদল হবে।
তবে কাউন্সিলের আগে হোক বা পরে হোক ডিসেম্বরের মধ্যেই যে মন্ত্রিসভার রদবদল হবে সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সবগুলো সূত্রই অভিন্য মত পেষণ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী গত এক বছর ধরে যাদের মন্ত্রী করেছেন তাদের কাজকর্মের হিসেব নিকেশ নিচ্ছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে তার সফল হয়েছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন ইত্যাদি তথ্য এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আর এই তথ্যগুলোই মন্ত্রিসভার রদবদলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে। ইতোমধ্যেই দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী বলেছেন, নন পারফরমারদের মন্ত্রিসভায় রাখা হবে না।
উল্ল্যেখ, এবারের মন্ত্রিসভায় অনেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেই ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে। সরকারের নীতি নির্ধারকদের কাছেও এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য ও উপাত্ত রয়েছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে প্রধানমন্ত্রী নতুন নেতৃত্ব তৈরি করে সরকার এবং মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আনার জন্য মন্ত্রিসভার আকার বড় করতে পারেন। দুই স্থরের মন্ত্রিসভা হতে পারে। প্রথম স্তরে মন্ত্রীর সঙ্গে একজন তরুণকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। যেন সেই তরুণ সরকার পরিচালনার পদ্ধতি, মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো কিভাবে চলে সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চার করতে পারে। যারা দলে সম্ভাবনাময় তরুণ মেধাবী তারা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
উল্লেখ্য প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ জানুয়ারী টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য মন্ত্রিসভা গঠন করেন। এই মন্ত্রিসভায় দলের হেভিওয়েট সিনিয়রদের বাদ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি আনকোড়া অনেক নতুন মুখকে মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দেওয়া হয়। আনকোড়া নতুনদের মধ্যে অনেকেই ভালো করেননি আবার কেউ কেউ ভালো করেছেন। যারা ভালো করেছেন তাদের কেউ কেউ পদোন্নতিও পেতে পারেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। তবে আওয়ামী লীগের সবগুলো সূত্রই বলছে মন্ত্রিসভার রদবদল মূলত নির্ভর করবে দলের নেতৃত্বে কারা থাকবেন তার ওপর।
অনেক ভালো পারফরমার মন্ত্রীও যদিও দলের নেতৃত্ব নিতে চান তাহলে তিনি হয়তো মন্ত্রী থেকে বাদ পড়তে পারেন। দল এবং সরকারকে আলাদা করা এবং মন্ত্রণালয়গুলোতে কাজে গতি আনার জন্যই মন্ত্রিসভার এই রদবদল হতে পারে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ অনেক বড় একটি দল। এখানে প্রচুর মেধাবী, দক্ষ, সম্ভাবনাময় নেতাকর্মী রয়েছেন যাদের কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এই কারণেই সরকার এবং দল যদি আলাদা হয় তাহলে অনেককেই জায়গা করে দেওয়া সহজ হবে। এর পাশাপাশি কাজে গতি আসার সঙ্গে সঙ্গে একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যারা বর্তমান মন্ত্রিসভায় রয়েছেন তাদের অনেকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করবেন। তারা দলে থাকতে চান নাকি মন্ত্রীত্ব রাখতে চান। বিশেষ করে যারা দলের নেতৃত্ব এবং সরকার পরিচালনায় দুটোতেই দক্ষতা দেখাচ্ছেন তাদেরকে এই সুযোগটা দেওয়া হবে। এই সব সার্বিক হিসেব নিকেশ করে যেটা দলের জন্য দেশের জন্য মঙ্গলজনক সেভাবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।