নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই কাউন্সিল অধিবেশনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে দল এবং সরকারকে আলাদা করা। যা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা রকম আলাপ আলোচনা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দল এবং সরকারকে আলাদা করতে চান। যারা দলের নেতা হবেন তারা সার্বক্ষনিক হবেন। তারা সরকারে থাকতে পারবেন না এরকম একটি ভাবনা তার মধ্যে রয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে যে মন্ত্রীরা দল এবং সরকার আলাদা করার যে কৌশল, সেই কৌশলের সঙ্গে একমত নন তারা। অধিকাংশ মন্ত্রী এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা না বললেও কয়েকজন বাংলা ইনসাইডারের কাছে সরাসরি এ রকম অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, দল এবং সরকার আলাদা করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায় বা ফোরামে আলোচনা হয়নি। এমনকি এটা নিয়ে কখনো কোনো কথাবার্তাও হয়নি।
বঙ্গবন্ধু দলের জন্য মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করার কথাটি তাকে স্বরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধুই। তার সঙ্গে কারো তুলনা করা চলে না। বঙ্গবন্ধু ঐ সময় মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দলের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। এটা তৎকালীন বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তখন ওলী আহাদ ষড়যন্ত্র করছিলেন এবং সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্যই দল রক্ষা করতে তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারো তুলনা করা যায় না। ৪৮ বছর আগের পরিস্থিতি আর এখনকার পরিস্থিতি মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ। তিনি বলেন, আমি মনে করি দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরই সরকারে থাকা উচিত। তাহলে সরকার দলের যে ম্যানডেট এবং দলের আকাঙ্খা সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারে। এটা দলকে আরো শক্তিশালী করতে পারবে। দল এবং সরকার দুটোই শক্তিশালী হবে। কিন্তু দল এবং সরকার আলাদা করলে দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন তিনি।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী অনেক বিচক্ষণ এবং তিনি যেটা ভাল মনে করবেন সেটাই করবেন। তবে তিনি মনে করেন যে, দলের সাধারণ সম্পাদকের যদি মন্ত্রীত্ব না থাকে তাহলে অনেক প্রশাসনিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এবং কিছু প্রশাসনিক বিষয় থাকে যেগুলো একজন অমন্ত্রী সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তিনি করেন যে, যদি প্রধানমন্ত্রী বিচক্ষণ মনে করেন তাহলে একজন মন্ত্রী পাঁচটি মন্ত্রানলয়ের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারেন।
তিনি বলেন যে, দল এবং সরকার আলাদা হবে কিনা তা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মনে করবেন, দল সেভাবেই চলবে। তবে তিনি মনে করেন যে, দল এবং সরকার আলাদা করলেই যে সবকিছু ঠিক হবে এমন ভাবনার কোন কারণ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন মনে করেন, দল এবং সরকার আলাদা হলে, দল এবং সরকার দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ তিনি মনে করেন, দলের একজন নেতা যখন মন্ত্রী হবেন তখন তিনি তাঁর দলের যে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য বেশি কাজ করতে হবেনা। দলের নেতা হবার কারণে প্রশাসনের উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে। কিন্তু দলের নেতারা মন্ত্রী না হলে আমলাতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মোটামুটি সব মন্ত্রীরাই, যারা দলের বিভিন্ন পদে আছেন তাঁরা দল এবং সরকার আলাদা করার বিরুদ্ধে। কিন্তু আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে নেতা যারা মন্ত্রী নন, তাঁরা মনে করেন সরকার এবং দল আলাদা করা উচিত। তাঁরা মনে করেন যে, যদি দল সরকার থেকে আলাদা হয় তাহলে সরকারকে জবাবদিহিতায় আনা এবং দলকে শক্তিশালী করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে, দলের সাধারণ সম্পাদক বা অন্যান্য নেতারা দাপ্তরিক কাজে এতটা ব্যস্ত থাকেন যে, দলকে সময় দিতে পারেন না। ফলে দলের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
এজন্য কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা যদি সার্বক্ষনিক থাকেন, তাহলে দলকে শক্তিশালী করা অনেক সহজ হয়। দল এবং সরকার আলাদা করার বিতর্কে কারা জয়ী হয় তা বোঝা যাবে আগামী সপ্তাহের আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।