নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে ঢাকা দক্ষিণের মনোনয়ন বঞ্চিত মেয়র সাঈদ খোকনকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাঈদ খোকনের অন্তর্ভুক্তিতে আওয়ামী লীগের মধ্যেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে যে, যাকে মেয়র নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য অযগ্য ঘোষণা করা হলো, তাকে আবার কীভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়।
আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে যে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কৌশলের জন্যই সাঈদ খোকনকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের হিসেবনিকেশ বিবেচনা করে সাঈদ খোকনকে কেন্দ্রিয় কমিটিতে আনা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন।
প্রথমত, পুরান ঢাকায় সরদার পরিবার একটা বড় ফ্যাক্টর। বিশেষ করে, মাজেদ সরদারের একটা বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে পুরান ঢাকায়। মাজেদ সরদারের নাতি হলেন সাঈদ খোকন। পুরান ঢাকার যারা অভিভাবক তারা এখন পর্যন্ত ভোটের ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ইতিবাচক সাড়া দেননি। সাঈদ খোকনও শেখ ফজলে নূর তাপসকে সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সাড়া দেননি। তিনি নিজেও বলেছেন যে, এটা নিয়ে তার পুরোনো ঢাকার মুরব্বীদের সাথে আলাপ করতে হবে। তাছাড়া তিনি এখন নির্বাচিত মেয়র।
একজন নির্বাচিত মেয়র হিসেবে সাঈদ খোকন সরাসরি প্রচারনা চালাতে পারবেন না। কিন্তু পুরান ঢাকার ভোট ব্যাংকের ওপর সাঈদ খোকনের একটা প্রভাব আছে। সাঈদ খোকন যেন এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাজেদ সরদারের পরিবারকে ভোট দিতে এবং তাপসের পক্ষে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে সেজন্যেই তাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন সাঈদ খোকনকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো, কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকায় প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনোভাবেই তিনি শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরোধীতা করতে পারবেন না। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে হলেও তাকে তাপসকে সমর্থন দিতে হবে। যদিও তাপস এই নির্বাচনে সরাসরি সাঈদ খোকনের সমর্থন চাননি। তবে নির্বাচনী কৌশল বিবেচনায় খোকনকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।