নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
বিএনপি মনে করে তাদের বর্তমান অবস্থার জন্য দলের কিছু ‘মীর জাফর’ দায়ী। তারা প্রকাশ্যে যেমন সরকারের সমালোচনা করে তেমনি গোপনে সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেন। এদের কারণেই বেগম খালেদা জিয়া জেলে এবং ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। এদের কারণেই বিএনপি এখন অস্তিত্বের সংকটে। ৩০ জানুয়ারির ঢাকা সিটি নির্বাচনের আগেও বিএনপিতে মীর জাফর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি মনে করছে, ছদ্ববেশে কিছু মীর জাফর বিএনপির সর্বনাশ ঘটাতে পারে এবং এদের কারণেই বিএনপি আরেকবার লজ্জায় ডুবতে পারে। এদের মধ্যে রয়েছেন;
ড. কামাল হোসেন
বিএনপি নেতাদের মতে বিএনপির তালিকায় প্রথমেই আছেন ড. কামাল হোসেন। বিএনপির দুই প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। কিন্তু তার দুদিন পরেই দেখা গেছে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ক্ষণগননা অনুষ্ঠানে। সেই উদ্বোধনী মঞ্চে থাকা নিয়ে বিএনপির মধ্যে তোলপাড় চলছে। বিএনপি মনে করছে যে, তার কারণেই ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বিএনপির এই ভরাডুবি হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা কি হবে তা তারা সন্দেহের চোখে দেখছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির সন্দেহের তালিকায় দ্বিতীয় নাম হলো তাদের নিজেদের দলেরই মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারণ হিসেবে বলা হয় মির্জা ফখরুল ইসলামের কারণেই বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই সরকারের সঙ্গে আতাত এবং গোপন লেনদেনগুলো করে থাকেন যে কারণে বিএনপি আবার সংসদে গেছে। এ কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির তালিকায় দ্বিতীয় ‘মীর জাফর’।
মির্জা আব্বাস
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জন্য মির্জা আব্বাস বা তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারেক জিয়ার নির্দেশে সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। মির্জা আব্বাস এটা কখনোই মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। যদিও নির্বাচনী প্রচারণায় মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রীকে সরব দেখা যাচ্ছে। তার স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন। এখানেই সাদেক হোসেন খোকার ঘনিষ্ঠদের সন্দেহ। তাদের মতে সাদেক হোসেন খোকার পুত্রের শুভাকাঙ্খি কখনো মির্জা আব্বাস হতে পারেন না। কাজেই এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে কার্যত কি তিনি ইশরাককে ডুবানোর মিশন নিয়েছেন কিনা তা নিয়ে নানা গুঞ্জন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
শুরু থেকেই তিনি এসব নির্বাচনের বিপক্ষে। তিনি মনে করেন এসব নির্বাচন অর্থহীন। তারপরও তাকে নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত কতটুকু বিএনপির পক্ষে থাকবেন আর কতটা বিএনপির প্রার্থীকে হারানোর চেষ্টা করবেন এনিয়ে বিএনপির মধ্যেই নানা রকম রসালো আলোচনা কান পাতলেই শোনা যায়।
মওদুদ আহমেদ
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ সবসময়ই দলের মধ্যে একজন সন্দেভাজন ব্যক্তি নির্বাচনের শুরুতেই মওদুদ বলে দিয়েছেন নির্বাচনে বিএনপি হারবে। তারপর কিছু প্রতিবাদ মিছিল হবে ব্যস এটুকুই। এখান থেকেই অনেকের সন্দেহ মওদুদ আহমেদ কি তাহলে পাতানো খেলার অন্যতম কুশিলব।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির এমন নেতাদের সন্দেহের চোখে দেখার কারণেই বিএনপির প্রচারণায় নানা রকম মতবিরোধ দ্বিধাদ্বন্দ্ব প্রকাশ্য হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।