নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২০
ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী ৩০ জানুয়ারি। নির্বাচনে ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণে সরাসরি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ প্রার্থ প্রচারণায় এগিয়ে থাকলেও ঢাকা উত্তরে চতুর্মুখী চাপে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম। আতিকুল ইসলাম প্রচারণার শুরুতেই নানা রকম বিতর্কে জড়াচ্ছেন এবং নির্বাচন কমিশনও তাকে ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন। এই সমস্ত চাপের কারণে নির্বাচনের দৌড়ে ক্রমশ আতিকুল ইসলাম পিছিয়ে পড়ছেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা। আতিকুল ইসলাম যে সমস্ত চাপের মধ্যে পড়েছেন তা হলো;
অযাথা বিতর্কে জড়াচ্ছেন
গতকালই আতিকুল ইসলামের চা খাওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবরও প্রকাশিত হয়। তিনি দোকানে চা বানিয়ে খাইয়েছেন। শেষে আবার দোকানদারকে ৮০০ টাকা বিলও দিয়েছেন। আতিকুল ইসলাম জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য যেটা করতে চেয়েছিলেন, হিতে বিপরীত হয়েছে সেটা। প্রথমত এটা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী কোন প্রার্থী ভোটারদেরে কোন রকম আপ্যায়ন করতে পারবেন না। অথচ তিনি এটা করেছেন। আবার আতিকুল ইসলামের এই চা খাওয়ানোর ঘটনায় নানা রকম হাস্য কৌতুকেরও জন্ম হয়েছে। এই অযাচা বিতর্কে জড়িয়ে আতিকুল ইসলাম নিজেই নির্বাচনকে হালকা করেছেন বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
দলে অনৈক্য
নির্বাচনী প্রচারণায় দলের নেতাকর্মীদের এক নৌকায় আনতে পারছেন না আতিকুল ইসলাম। বরং সময় যত গড়াচ্ছে ততই দলে অনৈক্য ডানা বাধছে। বিশেষ করে দক্ষিণে যেভাবে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা বাহাউদ্দীন নাছিম, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ারা তাপসের পাশে থাকছেন ঠিক তেমনি উত্তরে তিনি কাউকে পাচ্ছেন না। আজ নির্বাচনী প্রচারণায় মোহাম্মদপুরের এমপি সাদেক খানকে নিয়ে আরেকদফা নির্বাচনী প্রচারণা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। নির্বাচন আচারণবিধি অনুসারে মন্ত্রী এমপিরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু আজ সকালের প্রচারণায় সাদেক খান উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে সাদেক খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে নেমে যান। এটা আতিকুল ইসলামের জন্য একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
অবাস্তব আশ্বাস
আতিকুল ইসলাম নির্বাচনী প্রচারণায় বিজয়ী হওয়ার জন্য অবাস্তব কিছু আশ্বাস দিচ্ছেন বলেও উত্তরের ভোটাররা মনে করছেন। তিনি গত দুই দিনের বকৃত্বায় ঢাকা উত্তরের কিছু কিছু এলাকাকে সিঙ্গাপুর বানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। যেটা বাস্ববতার বিবেচনায় অসম্ভব। কারণ সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা কম এবং পরিকল্পিত। ঢাকাবাসীও জানে যে ঢাকাকে সিঙ্গাপুর বানানো সম্ভব না। ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করাটাই তাদের লক্ষ্য। আর এ কারণেই আতিক অবাস্তব আশ্বাস দিয়ে ভোটরদের আশ্বস্ত করতে পারছেন না।
নার্ভাস আতিক
নির্বাচনী প্রচারণায় আতিকুল ইসলামকে অনেকটা নার্ভাস মনে হচ্ছে। আর বিভিন্ন স্থানে তার নার্ভাসনেসটা সহজেই প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। গত নির্বাচনে তিনি যেমন ছিলেন দৃঢ়, আশাবাদী এবং স্বতঃস্ফূর্ত এবার তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। যার ফলে নির্বাচনী লড়াইয়ে শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়ছেন আতিকুল ইসলাম।
তবে আতিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠরা মনে করেন, নির্বাচনী প্রচারণা সবে শুরু হয়েছে। এখনো নির্বাচনের দুই সপ্তাহ বাকি আছে। কাজেই আতিকুল ইসলাম গত সাড়ে বারো মাস যে কাজ করেছেন এবং তার যে আন্তরিকতা সেই বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত ভোটাররা আতিকের দিকেই ভিড় করবেন। এ ব্যাপারে তারা আশাবাদী।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।