নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৭ জানুয়ারী, ২০২০
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা এখন তুঙ্গে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রচার প্রচারণা বিশ্লেষণ, ভোটারদের মনোভাব যাচাই করে ঢাকা উত্তরের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং বিএনপির সমর্থিত তাবিথ আউয়ালের মধ্যে কে এগিয়ে তা বলা মুশকিল।
স্থানভেদে দুই প্রার্থীর অবস্থান ভিন্নরকম। কোথাও কোথাও আতিকুল ইসলাম এগিয়ে আছেন, কোথাও কোথাও তাবিথের অবস্থান ভালো। যদিও উত্তরের ভোটাররা এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে মুখ খুলছেন না যে তারা কাকে ভোট দেবেন। নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে ভোটাররা যখন স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম উচ্চারণ করেন না, তখন বুঝতে হবে ভোটাররা এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তারা দোদল্যুমানতার মধ্যে আছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে যে, উত্তরা থেকে শুরু করে মোহাম্মদপুর পর্যন্ত যে এলাকা সেই এলাকায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীর অবস্থান ভালো। গুলশান-বনানী-বারিধারা- মহাখালি- রামপুরা এলাকায় তাবিথ আউয়ালের অবস্থান ভালো। তবে একাধিক ভোটারের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে যে, তারা এখন পর্যন্ত কাকে ভোট দেবেন সে ব্যাপারে মনস্থির করেননি। দুই প্রার্থীরই অবস্থান এবং আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতিগুলো ভোটাররা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করছেন। আতিকুল ইসলাম শুরুতে একটু পিছিয়ে থাকলেও ক্রমশ নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি সংহত হচ্ছেন। অন্যদিকে তাবিথ আউয়ালের ব্যাপারে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি ভোটাররা আশঙ্কা করছেন, তা হলো শেষ পর্যন্ত বিএনপি ভোটে থাকবে কিনা। গত সিটি নির্বাচনে ভোটাররা ব্যাপক উৎসাহ নিয়েই ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিল। মাত্র দুপুর ১২ টার সময় বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাবিথ আউয়াল নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। সেই সময়ের মধ্যেও ৬২ হাজার ভোট পেয়েছিলেন বিএনপির এই প্রার্থী। তাই ভোটারদের মধ্যে এক ধরণের সংশয় রয়েছে, শেষ পর্যন্ত বিএনপি যদি ভোট থেকে সরে দাড়ায়, কারণ অতীত অভিজ্ঞতা বলে বিএনপি প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই মাঝপথে ভোট থেকে সরে দাড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদি ভোট থেকে সরে দাড়ান তাহলে তাবিথ আউয়ালকে ভোট দিয়ে লাভ কি হবে? এই প্রশ্নের উত্তরের ওপরই নির্ভর করছে তাবিথ আউয়ালের ভোটের ভাগ্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যদি ভোটার উপস্থিতি বেশি হয় তাহলে উত্তর তাবিথের পক্ষে যাবে। আর শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ায় বা সড়ে দাড়ানোর জন্য অভিযোগে খোঁজে তাহলে ভোটার উপস্থিতি কম হবে সেক্ষেত্রে নির্বাচনে আতিকুল ইসলামই এগিয়ে যাবেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যতই সময় এগিয়ে যাচ্ছে ততই ইশরাক হোসেনকে ছাপিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস এগিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা দক্ষিণে তাপসের পক্ষে এক ধরণের জোয়ার এসেছে বলেই নির্বাচন বিশ্লেষক এবং পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
সরেজমিনে দক্ষিণের নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোটাররা প্রকাশ্যেই তাপসকে ভোট দেওয়ার কথা বলছেন। এ ব্যাপারে কোন রাখডাক দেখছেন না। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ অনেকবেশি অবহেলিত উত্তরের চেয়ে। বিশেষ করে পুরান ঢাকা, লালবাগ, সূত্রাপুর, কোতয়ালী এলাকাগুলো নানাভাবে অবহেলিত এবং বঞ্চিত। তারা মনে করছেন যে, শেখ ফজলে নূর তাপস যদি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন তাহলে তিনি এলাকাগুলোর উন্নয়ন করতে পারবেন। ঢাকা দক্ষিণে উন্নয়ন বিষয়টি সবচেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে এবং অধিকাংশ ভোটাররাই মনে করছেন উন্নয়নের জন্য তাপসের কোন বিকল্প নেই।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণভাবে কাজ করছে, তা হলো নারী এবং তরুণ ভোটাররা। এই দুই ধরণের ভোটারদেরই প্রায় জয় করেছেন শেখ ফজলে নূর তাপস। নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা দেখছেন, তাপস একটা পরিকল্পিত বিন্যস্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। যে কারণে তিনি যেখানেই যান না কেন একটি টিম সুনির্দিষ্ট বার্তা নিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। অন্যদিকে ইশরাকের নির্বাচনী প্রচারণা হচ্ছে অপরিকল্পিত এবং শো ডাউন নির্ভর। রাজনৈতিক দলের কর্মীসভা বা জনসভা আর ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা দুটি যে ভিন্ন বিষয় তা ইশরাকের প্রচারণা থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে ইশরাক আবেগনির্ভর প্রচারণা করছেন এবং উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট তিনি যে সমস্ত বক্তব্য রাখছেন সে সমস্ত অস্পষ্ট এবং অগভীর বলেই ভোটাররা মনে করছেন। তাছাড়া তার প্রতি আবেগ এবং সহানুভূতি থাকলেও ভোটাররা মনে করছেন যে, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন তিনি আদৌ করতে পারবেন কিনা এই আশংকা ভোটারদের মধ্যে রয়েছে। এ কারণেই ক্রমশই নির্বাচনী প্রচারণায় পিছিয়ে পড়ছেন ইশরাক। তবে নির্বাচনের এখনো বেশকিছুদিন বাকি। এ ধরণের নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নেন এবং সেটার ওপর নির্ভর করে ভোটের ফলাফল।
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।