নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩১ এএম, ১৮ জানুয়ারী, ২০২০
পঁচাত্তর পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলের কাণ্ডারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আব্দুল মান্নান। তিনি দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যারা তার পাশে ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আব্দুল মান্নান।
পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতির একটা বিশেষত্ব ছিল যে, বগুড়া অঞ্চলে বিএনপির একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বগুড়ায় জাতির পিতার আদর্শের রাজনীতির সূচনা করেছিলেন আব্দুল মান্নান। তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যান। সেখানে তিনি ছাত্রলীগের নেতৃত্ব এবং সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একজন কৃষিবিদ হিসেবে তিনি শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হন। আব্দুল মান্নান ছাত্রলীগের সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছাত্র রাজনীতি শেষ করে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে আসেন এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগে যাদেরকে ভবিষ্যতের নেতা মনে করা হতো তাদের মধ্যে আব্দুল মান্নান ছিলেন অন্যতম। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। এক সময়ে তিনি সংস্কারপন্থী হিসেবে বিবেচিত হন। মূলত ওয়ান ইলেভেনের পর থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার অবস্থান দুর্বল হতে থাকে। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েন। তার জায়গায় বগুড়ারই তরুণ শাখাওয়াত হোসেন শফিককে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এতে আব্দুল মান্নানের রাজনৈতিক জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এরমধ্যেই তিনি অসুস্থ হন এবং আজ তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হলেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।