নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ জানুয়ারী, ২০২০
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান মাথাব্যথার কারণ হচ্ছে কাউন্সিলর পদে যাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছে তাদের মনোনয়নের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর দাঁড়ানো। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের হিসেব অনুযায়ী উত্তরে ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪০টিতেই বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে দক্ষিণে ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭২টিতেই বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। গতকাল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনই বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আর নির্বাচনের পর বিষয়টা দেখা যাবে বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের নেতৃবৃন্দকে জানিয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী মেয়র পদেই দলীয় প্রতীক নৌকা দেওয়া হয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলররা কোনো দলীয় প্রতীক পান না। তারদেকে দলগুলো সমর্থন করে। আওয়ামী লীগ যে সমস্ত প্রার্থীদেরকে সমর্থন দিয়েছে তাদের তালিকা ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে যে, অধিকাংশ স্থানে এমপিরা তাদের পছন্দের প্রার্থীরা কাউন্সিলর পদে দলীয় সমর্থন না পাওয়ায় বা আওয়ামী লীগের পছন্দের প্রার্থী না হওয়ার তাঁরা তাদের মতো করে পছন্দের প্রার্থীকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এমপিদের সমর্থন থাকার কারণে ওই সমস্ত প্রার্থীরা কোনো অবস্থাতেই সরে যাচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের দুই মেয়র প্রার্থীই অভিযোগ করেছেন যে, একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী থাকার কারণে তাদের প্রচারণায় বিঘ্ন ঘটছে। আওয়ামী লীগ স্থানীয়ভাবে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। কারণ বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে যেমন আওয়ামী লীগের একটি অংশ কাজ করছে, তেমনি আরেকটি অংশ কাজ করছে দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে। এ অবস্থায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়া এবং তারা যেন নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ায় সেজন্যে আওয়ামী লীগ চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি। কিন্তু যেহেতু প্রত্যেক বিদ্রোহী প্রার্থীর পেছনেই গডফাদার রয়েছেন, যারা অধিকাংশই স্থানীয় এমপি বা স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, তাই তারা সরে যাননি। এ অবস্থায় বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিব্রতিকর পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের করণীয় নিয়ে গতরাতেই দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলগত কারণে এখন বিদ্রোহীদের ব্যাপারে নমনীয় অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেন। কারণ যদি এখন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন। কারণ বিদ্রোহীদের বহিস্কার করা হলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে কাজ করতে পারে। এটার ঢেউ দুই মেয়রের উপরও আছড়ে পড়তে পারে।
দ্বিতীয় যে বিষয়টি হচ্ছে তা হলো, বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে এই বার্তা দেওয়া হচ্ছে, যেভাবেই যে অবস্থান থেকে তারা নির্বাচন করুক তারা যেন মেয়রের নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। বিদ্রোহী প্রার্থীরা এ ব্যপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করার আরেকটি কারণ হচ্ছে সংগঠন যেন দুর্বল না হয়ে পড়ে। নির্বাচনের সময় এমন দুর্বল হলে সংগঠনের মধ্যে এক ধরণের মেরুকরণ হয় ফলে সংগঠনের একটি অংশ দলীয় কার্যক্রম থেকে নিজেদের গুটিয়ে ফেলে। কাজেই এখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, নির্বাচনে যারাই বিজয়ী হোক না কেন তারাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কাজ করছে। কারণ এখানে আওয়ামী লীগকে অনেকে সমর্থন দিয়েছে কিন্তু দলীয় প্রতীক নিয়ে তারা নির্বাচন করছেন না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময়ও আওয়ামী লীগ এমন অবস্থান গ্রহণ করেছিল এবং সেরকম অবস্থানে ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছিল।
আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, দলীয় প্রার্থীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলে তাদেরকে আর কখনোই আওয়ামী লীগে ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে না। তারা যদি কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয় সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগে ফিরে আসা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের প্রতি যদি নমণীয় থাকা হয় এবং তাদেরকে উপেক্ষা না করা হয় তাহলে বিজয়ী হওয়ার পর তারা আওয়ামী লীগে ফিরে আসতে পারবে। আওয়ামী লীগার হিসেবে রয়ে যেতে পারবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ওয়ার্ড কাউন্সিলররা যদি নৌকার প্রচারে কাজ করতে পারে তাহলে আওয়ামী লীগের প্রচারণা আরো বাড়বে। এই সমস্ত বিবেচনা থেকেই আওয়ামী লীগ বিদ্রোহীদের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে সরে এসেছে।
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।