নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০২০
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে যে ১৫ জন নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁদের মধ্যে সাতজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। এই সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে পেশায় দুজন আইনজীবী, দুজন শিক্ষক। অন্যরা স্বশিক্ষিত, এসএসসি পাস এবং অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ডে লড়ছেন ছয়জন নারী প্রার্থী। এর মধ্যে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন দুজন। এ ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আলেয়া সারওয়ার ডেইজী বর্তমানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। হলফনামায় দেওয়া তথ্যানুসারে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ। পেশা গৃহিণী। অতীত বা বর্তমানে কোনো মামলা নেই।
একই ওয়ার্ডের আরেক স্বশিক্ষিত নারী প্রার্থী হাসিনা মোরশেদ কাকুলীর রয়েছে সেলুন ব্যবসা। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। অতীতেও ছিল না।
উত্তরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে লড়ছেন হুমায়রা বাচ্চু। স্নাতক এই প্রার্থী একজন নারী উদ্যোক্তা। একসময় সংবাদ পাঠক ছিলেন। মামলা নেই।
৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার এস এম সীমার স্থায়ী ঠিকানা মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ফেরদৌসী আহমেদ স্নাতক পাস। তাঁর বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা বিচারাধীন।
৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাজেদা আলী হেলেন অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাধারণ আসনে পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছেন ৯ জন। এঁদের মধ্যে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখী বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর এ কে এম মোমিনুল হক সাঈদের স্ত্রী। তাঁর স্বামীও ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী। হলফনামায় ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখীর বর্তমান ঠিকানা ‘বঙ্গভবন স্টাফ কোয়ার্টার’ উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন।
২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহিদা মোরশেদ এসএসসি পাস।
৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মেহেরুন্নেছা অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন।
৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে লড়ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হেলেনা আক্তার। হলফনামায় নিজের পেশা উল্লেখ করেছেন গৃহকর্ম ও সমাজসেবক।
৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে লড়ছেন সাহানা আক্তার। শিক্ষা এলএলএম। পেশায় আইনজীবী এ প্রার্থীর নামে কোনো মামলা নেই।
৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে লড়ছেন দুজন নারী। এঁদের একজন নাজমুন আরা হোসেন বিএ পাস। এই প্রার্থীর নামে কোনো মামলা নেই। পেশা শিক্ষকতা।
অন্যজন শামীমা শারমীন। বিএ পাস এই প্রার্থীর নামে কোনো মামলা নেই।
৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে লড়ছেন মাহমুদা ফেরদৌস। শিক্ষা বিএ, এলএলবি।
৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সোনিয়া হোসেনের শিক্ষা নবম শ্রেণি। মামলা নেই।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।